ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফুঁসছে বিশ্ব। বাদ নেই খেলাধুলাও। রাশান সেনার অভিযানের বিপক্ষে পদক্ষেপে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের ভেন্যু রাশিয়া থেকে সরিয়ে এনেছে। দেশটির বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্পন্সরশীপ বাতিল করেছে ইউরোপের ক্লাবগুলো। তবে অসম যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে সবচেয়ে বাজে সময়ের মাঝে যাচ্ছে চেলসি।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটির রাশিয়ান মালিক রোমান আব্রাহামোভিচকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার আক্রমণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে সমালোচিত হচ্ছে লন্ডনভিত্তিক ক্লাবটি। বিষয়টি নিয়ে অবগত আছেন চেলসি বস থমাস টুখেল। তবে চলমান পরিস্থিতিতে কোনো ধরণের মন্তব্য করতে রাজি নন ব্লুজদের বস।
রোববার লিভারপুলের বিপক্ষে কারাবাও কাপ ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন টুখেল। ইউক্রেনে চলমান রাশিয়ার আগ্রাসনকে ভয়াবহ তুলনা দিয়ে চেলসি বস জানিয়েছেন, বর্তমানে তার লক্ষ্য ফুটবলে।
‘যতক্ষণ না কোনো সিদ্ধান্ত আসছে ততক্ষণ আমি মন্তব্য না করার অধিকার চাই। এটি বিভ্রান্ত করছে, আমাদের উদ্বিগ্ন করছে— একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় তা আমরা বুঝি। ক্লাব এবং আমাদের প্রতি সমালোচনামূলক মতামত বুঝতে পারি। আমরা এটি থেকে নিজেদেরকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত ভাবতে পারি না।’
চেলসি বস বলেন, ‘চলমান প্রভাবটি স্পষ্ট হবার আগ পর্যন্ত চলুন অপেক্ষা করি। এখনও আলোচনার প্রভাব আছে। আসুন একটু ধৈর্য ধরি এবং বুঝতে চেষ্টা করি, পরিমাপগুলি কী হবে আর তারপরে এটি মোকাবেলা করব।’
যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে নিজের মন্তব্য না করার কারণও জানিয়েছেন টুখেল। বলেন, ‘আমাদের ক্লাব পরিস্থিতির চারপাশে অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে, যুক্তরাজ্যে এই ধরনের পরিস্থিতিতে, আমি যদি মন্তব্য করি এর কোন মানে হবে না। আমরা এটি সম্পর্কে সচেতন, তবে আপনি যা ভাবতে পারেন এতটা অন্তর্দৃষ্টি বা ভিতরে যাইনি। শেষ পর্যন্ত,দল এবং স্টাফদের রাজনৈতিক না হয়ে খেলাধুলায় মনোনিবেশ করা উচিত। পরিস্থিতি পরিষ্কার আমরা লুকিয়ে আছি বলে নয়। এটা ভয়াবহ, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’