রাশিয়া রাজধানী মস্কোয় করোনা ভাইরাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের তাদের নিজস্ব তৈরি স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করেছে। গত আগাস্ট মাসে স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের জন্য স্পুটনিক-ভি নামের ভ্যাকসিনের লাইসেন্স দেয় রাশিয়া। এখন সেটির ব্যবহার শুরু করেছে দেশটি।
ভ্যাকসিন নির্মাতারা দাবি করেছে এটি ৯৫ শতাংশ কার্যকরী এবং বড় ধরণের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করে না। তবে এখনো ভ্যাকসিনটি বৃহৎকারে মানুষের মধ্যে পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ হয়নি।
এই সপ্তাহেই ভ্যাকসিনের প্রথম দুইটি ডোজ পাওয়ার জন্য নাম তালিকাভুক্ত করেছেন দেশটির হাজার হাজার মানুষ। তবে রাশিয়া মোট কত ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারবে, সেটা এখনো পরিষ্কার নয়। এই বছরের শেষ নাগাদ ভ্যাকসিনটির উৎপাদকরা ২০ লাখ ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেছেন: এই সপ্তাহের শুরুতে স্কুল, স্বাস্থ্য সেবা আর সমাজকর্মীদের আগে ভ্যাকসিনটি দেয়া হবে। তবে যতো ভ্যাকসিন আসতে থাকবে, এই তালিকা তখন আরও বড় হতে শুরু করবে।
এসব পেশার বাসিন্দারা অনলাইনে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে শহরের ৭০টি স্থানে ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য বুকিং দিতে পারবেন। তবে যাদের বয়স ১৮-৬০ মধ্যে রয়েছে তাদের বুকিং ছাড়াই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।
এখন পর্যন্ত রাশিয়ায় ২৩ লাখ ৮২ হাজার ১২জন করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪১ হাজার ৭৩০ জনের। রাশিয়ায় এই মহামারির কেন্দ্র হয়ে উঠেছে মস্কো, যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন।
কিছুদিন আগে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে ফাইজার, বায়োএনটেকের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমএইচআরএ বলছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ সক্ষম এই ভ্যাকসিন এখন ব্যবহারের জন্য নিরাপদ। তবে অনুমোদন দেয়া হলেও জনগণের মধ্যে এখনও ভ্যাকসিন আনুষ্ঠানিক প্রয়োগ শুরু হয়নি।
যুক্তরাজ্যের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরাইন।