মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নির্বাচন পরবর্তী ট্রানজিশন টিমের সদস্য হিসেবে সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ আইনসিদ্ধ ছিল।
শুক্রবার রাশিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইকে মিথ্যা তথ্য দেয়ার কথা স্বীকার করেন ফ্লিন। দোষ স্বীকার করতে চান কি না আদালতের এমন প্রশ্নের জবাবে সম্মত হন তিনি। জ্ঞাতসারে এফবিআই-এর কাছে ফ্লিন মিথ্যা, কাল্পনিক ও প্রতারণামূলক বিবৃতি দেয়ার কথা স্বীকার করেন। একই সঙ্গে মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের তদন্তে এখন থেকে সব রকমের সহযোগিতা করতেও রাজি হন ফ্লিন।
এই স্বীকারোক্তির প্রতিক্রিয়ায়ই এ কথা বলেন ট্রাম্প। শনিবার এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, তার কাছে লুকানোর মতো কিছুই নেই।
I had to fire General Flynn because he lied to the Vice President and the FBI. He has pled guilty to those lies. It is a shame because his actions during the transition were lawful. There was nothing to hide!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) December 2, 2017
টুইটে ট্রাম্প বলেন: আমি জেনারেল ফ্লিনকে বরখাস্ত করেছিলাম কারণ তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং এফবিআইয়ের কাছে মিথ্যা কথা বলেছিলেন। সেসব মিথ্যা কথা এবার তিনি স্বীকার করেছেন। এটা খুবই লজ্জাজনক, কেননা ট্রানজিশন টিমের সদস্য থাকা অবস্থায় তার কর্মকাণ্ড আইনসিদ্ধ ছিল। সেখানে লুকানোর মতো কিছু ছিলই না!
ট্রাম্পের এই বক্তব্য সরাসরি বিচার প্রক্রিয়ায় বাধাদানের প্রমাণ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা। কারণ এর আগে যখন প্রথম মাইকেল ফ্লিনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে গোপন যোগাযোগের অভিযোগ উঠল, তখন তা পুরোপুরি অস্বীকার করেছিলেন প্রেসিডেন্ট। প্রশ্ন উঠেছে, ট্রাম্প যদি আগে থেকেই জানতেন ফ্লিন মিথ্যে বলছেন এবং সেজন্যই তিনি তাকে বরখাস্ত করেছিলেন, তাহলে তৎকালীন এফবিআই প্রধান জেমস কোমিকে কেন ট্রাম্প ফ্লিনের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করতে চাপ দিয়েছিলেন?
বিবিসি জানায়, মাইকেল ফ্লিন রাশিয়া তদন্তের প্রধান স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুয়েলারের সঙ্গে সহযোগিতা ও স্বীকারোক্তির বিনিময়ে একটি চুক্তি করেছেন, যেন তার সম্ভাব্য সাজা কমিয়ে দেয়া হয়।
Oh my god, he just admitted to obstruction of justice. If Trump knew Flynn lied to the FBI when he asked Comey to let it go, then there is your case. https://t.co/c6Wtd0TfzW
— Matthew Miller (@matthewamiller) December 2, 2017
ট্রাম্পের টুইটের আগেই অবশ্য আরেকটি সত্য জনগণের সামনে প্রকাশ পায়। নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, কয়েক মাস আগে মুয়েলারের তদন্ত দল থেকে এক বর্ষীয়ান এফবিআই এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়েছিল। স্পেশাল কাউন্সেলের কার্যালয়ের মুখপাত্র পিটার স্ট্রোক অনেকের কাছেই ট্রাম্পবিরোধী ক্ষুদেবার্তা পাঠাচ্ছেন বলে আবিষ্কার হওয়ার পর তাকে তদন্ত দল থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।