ইউক্রেনে আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে নজিরবিহীন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে পোল্যান্ড।
ইউক্রেনের সমর্থনে রাশিয়ার সঙ্গে বিশ্বকাপ প্লে-অফ ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে রবার্ট লেভান্ডোভস্কির দেশ। একই সঙ্গে দেশটির ফুটবল সংস্থা সুইডেন ও চেজ রিপাবলিক ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করবে- যাতে ফিফা রাশিয়াকে নিয়ে অবস্থান পরিষ্কার করে।
স্কাই স্পোর্টসকে পোলিশ ফুটবল সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘কোনো কথা নয়, এবার কিছু করার সময়। ইউক্রেনের প্রতি রাশিয়ান ফেডারেশনের আগ্রাসনের কারণে, পোলিশ জাতীয় দল রাশিয়ার বিপক্ষে প্লে-অফ ম্যাচ খেলবে না। এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। ফিফার কাছে সাধারণ অবস্থান নিয়ে আসার জন্য আমরা সুইডিশ এবং চেক ফেডারেশনের সাথে আলোচনা করছি।’
২০২৩ সালে কাতার বিশ্বকাপের টিকিট সংগ্রহের লক্ষ্যে ‘বি’ গ্রুপে লড়বে রাশিয়া, সুইডেন, পোলান্ড এবং চেক রিপাবলিক। ২৪ মার্চ মস্কোতে পোল্যান্ডের মুখোমুখি হবার কথা রাশিয়ার। পরেরদিন সুইডেনের বিপক্ষে লড়বে চেক রিপাবলিক। জয়ী দুটি দল চারদিন পর লড়বে নভেম্বরে কাতারে যাবার টিকিট সংগ্রহে। তবে ইউক্রেনে চলমান রাশিয়ার আগ্রাসন অনেক কিছুতেই পরিবর্তন আনতে পারে।
বিশ্বকাপ প্লে-অফে না খেলার সিদ্ধান্তের কথা বলেছেন পোল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা রবার্ট লেভান্ডোভস্কি। বায়ার্ন মিউনিখের স্ট্রাইকার পোলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিজারি কুলেসজার টুইট শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এটাই কি সঠিক সিদ্ধান্ত! ইউক্রেনে সশস্ত্র আগ্রাসন চলা অবস্থায় রাশিয়ান জাতীয় দলের সাথে ম্যাচ খেলার কথা কল্পনাও করতে পারি না। রাশিয়ান ফুটবলার এবং ভক্তরা এর জন্য দায়ী নয়। তবে কিছুই ঘটছে না বলেও ভান ধরতে পারি না।’
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের আঁচ লেগেছে ফুটবলেও। রাশান সেনাদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বিস্তর পদক্ষেপ নিয়েছে এই খেলা। রাশিয়া থেকে সরানো হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। দুটি দলই পেয়েছে হোম ভেন্যুতে নিষেধাজ্ঞা। বেশ কিছু ইউরোপিয়ান ক্লাব রাশিয়ান স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাতিল করেছে চুক্তি। যুক্তরাজ্যে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছে চেলসির মালিক। মাঠে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সমর্থন জানাচ্ছেন ফুটবলাররা।