কোন শক্তি রাশিয়ার জনগণকে দমন করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার রাশিয়ার ৭৩তম বিজয় উৎসবে তিনি এ কথা বলেন।
বরাবরের মতো এবারও ৯ মে জাঁকজমকভাবে পালিত হচ্ছে রাশিয়ার বিজয় দিবস। ঐতিহ্যবাহী কুচকাওয়াজ ও সমরাস্ত্র প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে ৭৩ তম বিজয় উৎসব পালন করছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শক্তির এ দেশটি।
তবে এবারের আয়োজনে মস্কোর ‘রেড স্কয়ার’ অন্যবারের চেয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
দিন কয়েক আগেই চতুর্থবারের মতো দেশটির প্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। দেশজুড়ে পুতিন বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে কয়েক দফা। তাই এবারের বিজয় দিবসেও আলোচনায় উঠে আসবে ক্রিমিয়া ইস্যু।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিজয় দিবস উদ্বোধন কালে রাশিয়ার সকল নাগরিক এবং সামরিক বাহিনীর সকলকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান। সংক্ষেপে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত সামরিক বাহিনীর বিজয়ের কথা স্মরণ করেন তিনি।
সেই সাথে শুরু হয়ে যায় অস্ত্রের প্রদর্শনী। এবারের বিজয় দিবসের মূল আকর্ষণ রাশিয়ার নতুন এবং সবচেয়ে উন্নত সামরিক বাহিনীর কুচকাওয়াজ প্রদর্শন। এ কুচকাওয়াজে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু অংশগ্রহণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এবারের বিজয় দিবসে বেশ কিছু নতুন সমরাস্ত্র প্রদর্শন করবে রাশিয়া। এর মধ্যে আছে-
এসইউ-৫৭ ফাইটার জেট, কিনজাল হাইপারসনিক মিসাইল, ওয়াইআরএস ব্যালাস্টিক মিসাইল, আরমাটা ট্যাংক, এস-৪০০ এন্টি এয়ারক্রাফট এর মতো অত্যাধুনিক সব অস্ত্র।
তবে এবারই প্রথম রাশিয়ার নিজস্ব তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের স্টিল্থ ফাইটার সুখয় এসইউ-৫৭ প্রদর্শিত হচ্ছে। রাশিয়ার বিমান বাহিনীতে এখনো এর অভিষেক ব্রুয়ারিতে সিরিয়ায় পর্যবেক্ষণমূলক দুটি এইইউ-৫৭ পাঠানো হয়েছে।
এসইউ-৫৭ যখন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করবে তখন এটিই প্রথম পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধ বিমান।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ও হিটলারের নাৎসি বাহিনীর পরাজয়ের পর রাশিয়ার এ বিজয় অর্জিত হয়েছিল। ১৯৪৫ সালের ৮ মে জার্মানির আত্মসমর্পণের মাধ্যমে জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত সামরিক বাহিনীর বিজয় অর্জিত হয়েছিল। এ যুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের ২৭ মিলিয়ন মানুষ নিহত হয়।