যে যাই বলুক রামপাল দেশবিরোধী প্রকল্প ও বিএনপি এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী বলেন, কোন কোন সংগঠন কী বলছে, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। রামপাল পুরোপুরিই একটি রাষ্ট্রবিরোধী প্রকল্প। বিএনপি এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে।
রিজভী বলেন, এই প্রকল্প শেখ হাসিনাকে দিয়ে ভারত তৈরি করছে। অথচ ভারত নিজেদের দেশে এধরণের প্রকল্প নির্মাণ করতে দেয় না। পরিকল্পিতভাবে সুন্দরবন ধ্বংস করতেই ভারত এই প্রকল্প তৈরি করাচ্ছে।
গতকাল ইউনেস্কো রামপাল তৈরিতে যে অনাপত্তি জানিয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেসনোটের বিষয়ে রিজভী বলেন, আমাদের দেশের যারা পরিবেশবিদ, বিজ্ঞানী তারা কি জ্ঞানী নয়? তারা কি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেননি? তাদের গবেষণার কি কোন ভিত্তি নেই? বিদেশি সংস্থা কী বলছে তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা রামপাল চাই না।আমরা এই বিধ্বংসী প্রকল্পের বিরুদ্ধে।
এসময় তিনি দেশে গুম-খুন হত্যা নিয়ে হিউম্যান রাইট ওয়াচের তথ্যকে সঠিক বলেও মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা যদি আরো সময় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করতো, আরো জরিপ চালাতে পারতো, তাহলে আরো ভয়াবহ চিত্র দেখতে পেতো। কারণ, এই প্রতিবেদনের চেয়ে দেশের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ।
ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের কোন তথ্য-উপাত্ত খুঁজে পান না। কারণ, তিনি কালো সান গ্লাস পরে থাকেন। তিনি এসব দেখতে পাবেন না।
রিজভী আরো বলেন, এই সরকার জাতীয় সংসদকে বিচিত্রা অনুষ্ঠানের ক্লাবে পরিণত করেছে। এই সংসদে জনগণের আলোচনা হয় না। তাই দ্রুত একটি নির্বাচন দরকার দেশে। বিএনপি নির্বাচনে যাবেই। কিন্তু শেখ হাসিনার অধীনে নয়, একটি সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুকসহ নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে স্বাধীনতা ফোরাম নামক এই মানববন্ধন আয়োজন করে।
এসময় আরো আলোচনা করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন এ্যানি। সভাপতিত্ব করেন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতিআবু নাসের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ।