মাথা জোড়া লাগা অবস্থায় জন্ম নেওয়া পাবনার ১৮ মাস বয়সী দুই শিশু রাবেয়া-রোকাইয়ার আলাদা জীবন দেওয়ার প্রচেষ্টায় চিকিৎসার দুটি ধাপ সম্পন্ন করে ফিরে যাচ্ছেন হাঙ্গেরির দুই ডাক্তার স্টিফেন হিউডেক এবং অ্যান্ড্রোস সুকে।
শুক্রবার বাংলাদেশ ছাড়ার পর তিন মাস পরে তারা আবার আসবেন। এতদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অধীনে স্বাভাবিক চিকিৎসা চলবে বলে জানিয়েছেন ঢামেক বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন।
চ্যানেল আই অনলাইনে তিনি বলেন: রাবেয়া-রোকেয়ার চিকিৎসার দুটি ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছেন হাঙ্গেরির দুই ডাক্তার। প্রথম ধাপে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দ্বিতীয় ধাপে শিশু দুটির সাধারণ যে রক্তনালী ছিল সেটি বন্ধ করে দেওয়ার পর তাদের নিজস্ব বিকল্প রক্তনালী সচল হয়েছে। এখন তারা সুস্থ রয়েছে।
‘তিনমাস পর ডাক্তাররা আবার আসবেন। তখন আরও জটিল অস্ত্রোপচার হবে। ততদিন আমাদের অধীনেই চিকিৎসা করা হবে রাবেয়া-রোকাইয়াকে’।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী হাঙ্গেরির দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. স্টিফেন হিউডেক এবং অ্যান্ডোস সুকে জানান: অস্ত্রোপচারের দ্বিতীয় ধাপ সফলভাবে আমরা সম্পন্ন করতে পেরেছি। শিশু দুটির ব্রেইন আলাদা থাকলে তাদের উভয়ের একই রক্তনালী ছিল। মাথা আলা করতে এই রক্তনালী আলাদা করাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।
‘তাই আগে আমরা বেলুন ফুলিয়ে সাধারণ রক্তনালী বন্ধ করে দেখতে চেয়েছি উভয়ের নিজস্ব রক্তনালী সক্রিয় হয় কিনা। আশার কথা হচ্ছে উভয়ের রক্তনালীই সক্রিয় হয়েছে। তাই অস্ত্রোপচারের দ্বিতীয় ধাপ সফলভাবেই সম্পন্ন হয়েছে।’
পাবনা জেলার চাটমোহরের ১৮ মাস বয়সী দুই শিশু রাবেয়া-রোকাইয়া। স্থানীয় সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের সহায়তায় গত ২০ নভেম্বর ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় শিশু দুটিকে।
শিশু দুটির চিকিৎসার সম্পুর্ণ দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।