রানা প্লাজার ঘটনায় হত্যা মামলায় চার্জ গঠনের শুনানির দিন ১৩ জুন ধার্য করেছেন আদালত। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আসামিপক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ২ আসামি আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠানোরও আদেশ দেয়া হয়েছে।
২০১৩’র ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১১শ’র বেশি মানুষের মানুষের মৃত্যু হয়। এরপর পলাতক, ভবন মালিক সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় রোববার চার্জ গঠনের দিন থাকলেও আসামি পক্ষের আবেদনে তা পিছিয়েছেন আদালত।
সোহেল রানার আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, এই মামলার সবগুলো পেপার আমাদের কাছে সরবরাহ হয়নি। এই কারণে সিনিয়রদের সঙ্গে বসে আমরা একটা আবেদন করেছি, এখানে অনেক প্রিপারেশনের ব্যাপার আছে। ১১৩৬ জন মৃতের সুরতহাল দেখতে হবে, ডিএনএ টেস্ট দেখতে হবে, ১৬৪ আছে। এই মামলায় আক্রান্ত রয়েছে ১১৬৯ জন, তাদের ১৬১গুলো দেখতে হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, আসামিপক্ষ সময়ক্ষেপণের চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খোন্দকার আবদুল মান্নান বলেন, তারাতো অবশ্যই সময়ক্ষেপনের চেষ্টা করবে। যেহেতু আমরা অত্যন্ত শক্ত। সাধারণভাবেই তারা চেষ্টা করবে দেরি করার জন্য। কিন্তু আমরা নিশ্চিত যে এই মামলায় তারা প্রসিকিউট হবে এবং জেল তাদের অনিবার্য।
হত্যা মামলার ২ আসামি, রানা প্লাজায় থাকা ইথার টেক্সের এমডি এবং পরিচালক আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আবেদন না-মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। মামলার ৪১ আসামির মধ্যে জেলে রয়েছে ৭জন। পলাতক ৯ আর জামিনে রয়েছেন ২৫ জন।