রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ৪ বছরে বদলাতে শুরু করেছে দেশের পোশাক খাত। এরই মধ্যে বিদেশী বিভিন্ন সংস্থা আড়াই হাজার পোশাক কারখানার ৬৪ ভাগ সংস্কার কাজ শেষ করেছে। পিছিয়ে আছে সরকারি তালিকায় থাকা দেড় হাজার পোশাক কারখানার সংস্কার কাজ। সমন্বিতভাবে পোশাক কারখানাগুলো সংস্কার করা না গেলে রানা প্লাজার মতো নতুন কোন ট্র্যাজেডির আশঙ্কা এড়ানো সম্ভব নয় বলে মনে করছেন এ খাতের বিশেষজ্ঞরা।
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর দেশ-বিদেশে আলোচানায় আসে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার মান ও শ্রমিকের কর্ম পরিবেশ। ওই বছর থেকেই সরকার, উদ্যোক্তা, শ্রমিক এবং বিদেশী বিভিন্ন সংস্থা সমন্বিতভাবে এ খাতের সংস্কারের উদ্যোগ নেয়।
প্রাথমিকভাবে সাড়ে তিন হাজার কারখানার মান উন্নয়ন ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ শুরু করে অ্যাকর্ড, এলাইন্স ও এনআই। কারখানাগুলো পরিদর্শন শেষে এই তিন সংস্থা বিভিন্ন ধরনের সাড়ে ৭৪ হাজার সমস্যা চিহ্নিত করে।
গত চার বছরে সমাধান হয়েছে ৩২ হাজার সমস্যা। ২০১৮ সালের মধ্যে অবশিষ্টগুলো শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারন করা হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে ভবনের অবকাঠামো, অগ্নি নিরাপত্তা এবং বিদ্যুৎজনিত দুর্ঘটনা।
এ সংস্কার কর্মসূচির বাইরে রয়ে গেছে কয়েকশ’ পোশাক কারখানা। ভাড়া করা ভবনে পোশাক কারখানা এখনও বন্ধ হয়নি। আকর্ড এবং আ্যালায়েন্সের সংস্কার শর্ত না মেনে দেড়শ’ প্রতিষ্ঠান নিজেরমতো কাজ করে যাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের দুর্ঘটনা গত ৪ বছরে এ খাতের সব উন্নতিকে ধ্বংস করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গবেষকরা।
রানা প্লাজা ট্রাজেডির পর গত ৪ বছরে পোশাক কারখান মান ও শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়ে যে আগ্রগতি হয়েছে তা টেকসই করতে ছোট-বড় সব পোশাক কারখানাকে সংস্কার কর্মসূচির আওতায় আনার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন এ খাতের বিশেষজ্ঞরা।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: