রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পাঁচ বছর পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো ৯০ শতাংশ ত্রুটি সংশোধন করেছে বলে জানিয়েছে ইউরোপ এবং আমেরিকান ক্রেতাদের পরিদর্শন জোট অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্স।
নিরাপদ কর্মপরিবেশ ধরে রাখতে অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স নিয়ে সমালোচনা মুখর বিজিএমইএ আগের অবস্থান থেকে সরে এসে বলছে, নিরাপদ কর্মপরিবেশ টেকসই করতে ওই দুই জোটের সঙ্গে তারাও কারখানার মান পর্যবেক্ষণে রাখবে।
২০১৩ সালে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর গার্মেন্টস কারখানার ভবন এবং অগ্নি ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ সামগ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প। এরপর পাঁচ বছর ধরে ইউরোপিয়ান বায়ারদের পরিদর্শন জোট অ্যাকর্ড ১৬০০ কারখানার সমস্যা নিয়ে কাজ করেছে।
সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদনে অ্যাকর্ড বলছে, ২০ লাখ পোশাক কর্মী ও ২৫ হাজার ফলোআপ পরিদর্শনের মাধ্যমে ৮৪ শতাংশ কারখানার সমস্যা চিহ্নিত হয়। এর মধ্যে ৭৬৭টি কারখানা ৯০ শতাংশ ক্রটি সারিয়েছে, সব ধরণের সমস্যার সমাধান করেছে ১৪২টি কারখানা।
অন্যদিকে, আমেরিকান বায়ারদের জোট অ্যালায়েন্স ৬ শতাধিক কারখানা নিয়ে কাজ করে। সর্বশেষ রিপোর্টে সংস্থাটি জানায়, বেশিরভাগ কারখানা তাদের ৯০ শতাংশ ত্রুটি সংশোধন করেছে। প্রায় ১৫ লাখ পোশাক কর্মীকে অগ্নি নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ২০০ কারখানায় গঠিত হয়েছে নির্বাচিত কর্মী নিরাপত্তা কমিটি।
অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্সের এরকম পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমকে গার্মেন্টস মালিকরা শুরুতে স্বাগত না জানালেও এখন তাদের অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে।
ভাবনার অতীত একটি ট্র্যাজেডির মধ্য দিয়ে হলেও বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প এখন কর্মীদের জন্য অনেকটাই নিরাপদ। তবে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর বাইরে থাকা ৫ শতাধিক কারখানার পরিদর্শন ও ক্রটি সংশোধন কাজের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
অারও দেখুন মাশরুর শাকিলের ভিডিও রিপোর্টে: