সাভারের রানা প্লাজা ধসের দুর্ঘটনার পর অক্লান্ত উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত থাকা নওশাদ হাসান হিমু (২৭) গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার রাত ১০ টার দিকে বিরুলিয়ার শ্যামপুর এলাকায় আবদুল হক মোল্লার বাড়িতে ভাড়া বাসায় আত্মহত্যা করেন তিনি। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা- রানা প্লাজা ধসের ছয় বছর ছিল বুধবার।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফ এম সাইদ বলেন, নিজের গায়ে নিজে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মহত্যা করেন তিনি। হিমু তিন বছর ধরে শ্যামপুর এলাকায় বসবাস করতেন। হিমু কারও সঙ্গে তেমন মিশতেন না এবং তার বাবা-মায়ের সঙ্গেও থাকতেন না।
হিমুর মৃত্যুর বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, আমরা তদন্ত করছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হলো তা আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানতে পারব।
জানা যায়, বৃস্পতিবার দুপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত শেষে বেলা তিনটার দিকে হিমুকে নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাদ এশা জানাজা শেষে তাকে বাবার কবরের পাশে কবর দেওয়া হবে।
হিমু বরিশালের উজিরপুর থানার বাবর গ্রামের সরদার আবুল হোসেনের ছেলে। বন্ধু-শুভানুধ্যায়ীদের কাছে তিনি‘হিমালয় হিমু’ নামে পরিচিত ছিলেন।
বুধবার রাতে সে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হিমুর আত্মীয়সহ স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে সাভার থানায় খবর দেয়। পুলিশের সহযোগিতায় রাত দুইটার দিকে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।