টি-টুয়েন্টিতে ১৪৩ রানের লক্ষ্য খুববেশি বড় নয়, আবার কম চ্যালেঞ্জিংও নয়। প্রয়োজনীয় রানরেটের সাথে পাল্লা দিয়ে এগোতে হয় প্রতিটি ওভারেই। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে সেটি পারল না বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে রানরেটের হিসাব মেলাতে না পেরে ১৮ রানের হারে যাত্রা করেছে টিম টাইগ্রেস।
অস্ট্রেলিয়ার পার্থে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৪২ রান তুলেছিল ভারত। টস জিতে ফিল্ডিং নেয়া বাংলাদেশ জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১২৪ পর্যন্ত যেতে পারে।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই শামীমা সুলতানাকে হারায় বাংলাদেশ। ৮ বলে ৩ করে ফেরেন এ ওপেনার। পরে সানজিদাকে নিয়ে ৩৯ রানের জুটি গড়া মুর্শিদা খাতুন ফেরেন ৪ চারে ২৬ বলে ৩০ করে।
সানজিদা আলমও বেশিক্ষণ টেকেননি, ১৭ বলে ১০ রানের টি-টুয়েন্টি বিরুদ্ধ ইনিংস তার। ফারজানা হক ৪ বলে রানের খাতা খুলতে না পেরে তাকে অনুসরণ করলে বিপদে পড়ে টিম টাইগ্রেস।
সেই বিপদ আর কাটেনি। প্রয়োজনীয় রানরেট তরতর করে বাড়তে থাকে। ২ চারে ১৩ বলে ফাহিমা খাতুনের ১৭, নিগার সুলতানা ৫ চারে ২৬ বলে সর্বোচ্চ ৩৫ করে ফিরতেই বিপদের পারদ আরও চড়ে যায়।
শেষদিকে জাহানারা আলমের ১০ বলে ১০, রুমানা আহমেদের ৮ বলে ১৩ ও অধিনায়ক সালমা খাতুনের ৫ বলে ২ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।
এর আগে শুরু থেকেই তাণ্ডব মুডে থাকা ভারতের মেয়েদের দেড়শর আগে আটকে ফেলতে চেষ্টার কমতি রাখেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। তবুও এবারের আসরের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ গড়েছে দলটি।
যাকে নিয়ে ছিল ভয়, সেই শেফালি ভার্মা সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেছেন। এ ওপেনারের ইনিংসটি ১৭ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো। পরের সর্বোচ্চ ২ চার ও এক ছক্কায় ৩৭ বলে ৩৪ রান জেমিমাহ রদ্রিগেজের।
বাকিদের মধ্যে দীপ্তি শর্মা ১১, রিচা ঘোষ ১৪ ও শেষদিকে বিদ্যা কৃষ্ণমূর্তির ৪ চারে ১১ বলে অপরাজিত ২০ রান সালমাদের লক্ষ্যটা কঠিন করে তোলে।
বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সালমা খাতুন ও পান্না ঘোষ। সালমা ও পান্না ৪ ওভারে ২৫ করে রান দেন। রুমানা ২ ওভারে ৮ রান দিলেও কোটা পূরণের সুযোগ পাননি, কোনো উইকেটও পাননি। ফাহিমা ২ ওভারে ১৬, জাহানারা ৪ ওভারে ৩৩ ও নাহিদা ৪ ওভারে ৩৪ করে রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন।