বাংলা সংগীতের শক্তি সবার কাছে পৌঁছে দিতে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে প্রতি বছরই বসে বাংলা খেয়াল উৎসব। এবার বসলো ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে। শনিবার বিকাল ৫টা থেকে শুরু হয়ে উচ্চাঙ্গ সংগীতের এই মহাযজ্ঞটি চলবে রবিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত।
আয়োজনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব সংগীতজ্ঞ আজাদ রহমানের তত্ত্বাবধানে বরেণ্য শিল্পীসহ দেশের শ’খানেকের বেশি ক্ষুদে শিল্পী অংশ নিয়েছেন চ্যানেল আই ইস্পাহানি বাংলা খেয়াল উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে চ্যানেল আই ভবনেও। শুভ্র পোশাকে এদিন দুপুর থেকেই চ্যানেল আইয়ে আসতে থাকেন ক্ষুদে ও নবীন-প্রবীন শিল্পীরা। বাংলা খেয়াল নিয়ে সবার মনে উচ্ছ্বাস। ক্ষুদে শিল্পীদের সঙ্গে আসতে দেখা গেছে তাদের অভিভাবকদেরও।
আসরটি বরাবরের মতো সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে চ্যানেল আইয়ের পর্দায়। উৎসবটির প্রযোজক হিসেবে আছেন অনন্যা রুমা। ৫টায় শুরু হলেও সন্ধ্যা ৬টার দিকে ছিলো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন।
যেখানে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ। তিনি বলেন, বাংলা খেয়ালের এমন আয়োজন নিয়ে শুরুতে আমরাও সন্দিহান ছিলাম। কিন্তু নেপথ্যে থেকে আমাদের শ্রদ্ধেয় আজাদ রহমান তার সাধনা দিয়ে আয়োজনটি সফল করতে পরিশ্রম করে গেছেন। যার ফলশ্রুতিই ৭ম আসর।
বাংলা খেয়ালকে জনপ্রিয় করে তুলতে আজাদ রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, বাংলা খেয়ালে অংশ নেয়া শিল্পী থেকে শুরু করে যারা জড়িত প্রত্যেকের কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতা। শুদ্ধ সংগীতের পৃষ্ঠপোষকতায় চ্যানেল আই শুরু থেকেই ছিলো, ভবিষ্যতেও থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি বাংলা সংগীতের উৎকর্ষকে সবার কাছে, সার্বজনীনভাবে পৌঁছে দিতে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলা খেয়াল উৎসব। আমরা আশা করছি এর মধ্য দিয়ে বাংলা খেয়ালের আরো অনেক বেশি উৎকর্ষ সাধিত হবে, প্রতিটি সংগীত পিপাসু মানুষের কাছে যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা পাবে।
সংগীতের নব দিগন্ত হচ্ছে বাংলা খেয়াল। সারা রাতব্যাপী বাংলা খেয়াল প্রচার করার সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত মনে করে চ্যানেল আইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আজাদ রহমান। তিনি বলেন, আগে খেয়াল শোনার মানুষ ছিল না। কিন্তু চ্যানেল আই-এর এ উদ্যোগের ফলে বাংলা খেয়ালের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।
বাংলা খেয়াল নিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো কথা বলেন ড. রিনা তাপসী খান, ড. অসিত রায়, হারুন অর রশিদ, সেলিনা আজাদ প্রমুখ। তারা প্রত্যেকে বলেন, চ্যানেল আই সাত বছর ধরে বাংলা খেয়ালকে যেভাবে সহযোগিতা করছেন তাতে শুধু বাংলাদেশে নয়, বাংলা ভাষাভাষি সকলের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
ছবি: সাকিব উল ইসলাম