‘একটা ভুল ধারণা আছে যে, উনি সিনেমা হলের নাম করে মার্কেট করেছেন। অনুমতিটা সিনেমা হলের নাম করে নিয়েছেন। না, মার্কেটের কথা বলেই অনুমতি নেওয়া। মার্কেটটা ওখানে মার্কেট হিসেবেই তৈরি করা হয়েছিল। পরে আমরা সিনেমা হল করার চেষ্টা করেছিলাম, রাজউক থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।’ উত্তরায় রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্স নিয়ে প্রচলিত কিছু ধারণার ব্যাপারে বললেন বাপ্পারাজ, নায়করাজ রাজ্জাকের বড় ছেলে। আজ ২৬ আগস্ট শনিবার সকালে এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাব মিলনায়তনে নায়করাজ রাজ্জাক স্মরণে শোক সভা ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮টি সংগঠন নিয়ে গঠিত চলচ্চিত্র পরিবার। এখানে বক্তব্য রাখেন তিনি।
নায়করাজ রাজ্জাককে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চলচ্চিত্রের মানুষজনের মাঝে কিছু ধারণা রয়ে গেছে। মাঝে মাঝেই তা সামনে এসেছে। ঘরোয়া আড্ডায় আলোচিত হয়েছে। অনেকেই অপেক্ষা করেছেন, আশা করেছেন নিশ্চয়ই রাজ্জাক এ ব্যাপারে মুখ খুলবেন। তবে তিনি এ ব্যাপারে কখনোই কিছু বলেননি।
বাপ্পারাজ আরও বলেন, ‘ওই ভবনে অনেক পিলার ছিল। সেটা ভেঙে জায়গা বের করে সিনেমা হল করার কোনো উপায় ছিল না। করা হয়নি। পরে ওপরে সিনেমা হল করার চেষ্টা করেছিলাম, তখনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। কিছুদিন আগেও ওখানে বিসিকের একটা অডিটোরিয়াম ছিল, ওটাও আমরা নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম সিনেমা হল করার জন্য। উত্তরার একটি স্কুলের পাশে হওয়া সেটাও করা যায়নি। এই হলো ঘটনা। এটা নিয়ে অনেকেরই ভুল ধারণা আছে, আমি পরিষ্কার করে দিলাম। রাজ্জাক সাহেব দুই নম্বরি করে মার্কেট বানাননি, রাজ্জাক সাহেব সৎ থেকে মার্কেট বানিয়েছেন। রাজ্জাক সাহেব যদি দুই নম্বরি করে বানাতেন, তাহলে উত্তরায় আরও চার-পাঁচটা মার্কেট থাকত। করেননি।’
ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের জন্য রাজ্জাক তার বাড়ি বিক্রি করেছিলেন। এ ব্যাপারে বাপ্পারাজ বলেন, ‘আমাদের এত বড় একটা বাড়ি ছিল, ব্যবসায় ক্ষতি করার পরে ব্যাংকের মাত্র চার কোটি টাকা ঋণ ছিল। লাখ লাখ, কোটি কোটি টাকা মানুষ মেরে দেয়, আবুল-করিম-গফুররা এমন করে, কোনো কথা ওঠে না কখনো। কিন্তু রাজ্জাক সাহেবের নামে আসবে, রাজ্জাক সাহেব চার কোটি টাকা মেরে দিয়েছেন, ব্যাংকে ডিফল্টার। আমরা আমাদের বাড়ি বিক্রি করে লোন শোধ করে দিয়েছি। আমরা অসৎ হলে মেরে দিতে পারতাম ওই টাকা।’