স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বাভাবিক মৃত্যুতে ঘৃণা ও দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
রোববার বিকালে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে তারা এরশাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে।
তাদের দাবি: হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বাংলাদেশ একজন কুখ্যাত স্বৈরশাসক। তার মত স্বৈরশাসকের মৃত্যু হওয়ার কথা ছিল ফাঁসির দড়িতে। কিন্তু তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। যা শহীদদের জন্য অপমানজনক। তার স্বাভাবিক মৃত্যুতে শহীদ ডাক্তার মিলন, রাউফুন বসুনিয়া, জয়নাল এর মত শহীদদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। তার স্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য দায়ি বাংলাদেশের অপ-রাজনীতি। বাংলাদেশের এমন অপ-রাজনীতির কারণেই তিনি আজ স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন।
এ সময় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল বলেন: এরশাদ বাংলাদেশের একজন কুখ্যাত স্বৈরাচার। তার হাতে ক্ষমতা থাকার সময় ছাত্রদের উপর অনেক গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। তাজুলের কথা আমরা জানি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। শুধুমাত্র ঢাকায় না, সারাদেশেই এরশাদের গুণ্ডা ও সেনাবাহিনীর হাতে অগণিত মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন।
তিনি বলেন: একজন স্বৈরশাসক আজকে যে মর্যাদার সাথে মৃত্যুবরণ করলেন এটা তার সাথে হওয়ার কথা ছিল না। তার জেলখানা বা ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলে় মৃত্যুবরণ করার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের অপ-রাজনীতির কারণে তিনি আজ রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান পাচ্ছেন। তাই আমরা মনে করি এটি শহীদদের সাথে একটি প্রতারণা। ডাক্তার মিলন, রাউফুন বসুনিয়া, জয়নাল এর প্রতি অবিচার করা হয়েছে। আজকে আমরা এখানে ঘৃণা প্রদর্শন করছি। আজকের শহীদদের রক্তের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে।
ছাত্র ইউনিয়নের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল করিম বলেন: স্বৈরাচার সরকার এরশাদের বিরুদ্ধে আজকে আমাদের এই নীরব প্রতিবাদ। আজকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যাদের মৃত্যু হয়েছে সেসব ঘটনার বিচার হয়নি। কিন্তু যারা অপরাধী তাদের আজ স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এরশাদ শ্রমিক আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন সব জায়গায় হামলা চালিয়েছে তার পুলিশ বাহিনী দিয়ে। আমাদের অনেক ভাই শহীদ হয়েছে। যাদের হত্যার বিচার আমরা এখনও পাইনি। তার স্বাভাবিক মৃত্যু আমাদের কাছে একটা দুঃখজনক বিষয়।