বড় আয় নির্ধারণ, বড় ব্যয় বরাদ্দ এবং বছর শেষে বড় অংকের কাঁটছাঁট-বাজেটকে এই দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
সংস্থাটি মনে করে বাজেটের আকার আরো বড় হওয়া উচিত। সে জন্য আয় ও ব্যয়কারী সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা, শাসন ব্যবস্থার অসঙ্গতি এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিভ্রান্তি দূর করতে হবে।
প্রতি বছরই জাতীয় বাজেট উত্থাপনের আগে চলতি বাজেট বিশ্লেষণ এবং আগামী বাজেট নিয়ে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরে সিপিডি। সামষ্টিক অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে সংস্থাটি বলছে, রাজস্ব আয়ে ঘাটতি সরকারের জন্য সবচে বড় মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে।
গত ১৪ বছরে আয়করে সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি উদ্বিগ্ন করে তুলেছে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যপূরণে। চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ আয় জিডিপিতে প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি ৭.০৫ শতাংশ মেনে নিলেও মূলত: সরকারী চাকুরেদের বেতন বৃদ্ধির ওপর ভর করে এই হিসাব বলে তাদের মত।
সিপিডি’র ফেলো ডক্টর দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের আশঙ্কা হলো যে, অর্থনীতির সাথে কর্মসংস্থান বিনিয়োগ এটা কি ধরণের বিনিয়োগ তার পরিস্থিতি জানেন তবে, ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি অথচ দেখেন এ বছরে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ পতন ঘটেছে।
যে বছরে আমার কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে আয় কমে যাচ্ছে এটা কী একটা বৈপরিত্য না প্রশ্ন করেন তিনি।
বেসরকারী খাতে ব্যাংক ঋণ নেওয়ার হার বেড়েছে তবে এই ঋণ শিল্পে বিনিয়োগ হচ্ছে, না কি ভোগ্য পণ্য কেনা-কাটায় চলে যাচ্ছে তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ সিপিডির। রপ্তানী আয়ে সুবাতাস এবং অভিবাসী শ্রমিক যাওয়ার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় রেমিট্যান্স আয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা তাদের। আগামী বাজেটে তাই সিপিডি বাড়তি মনোযোগ চেয়েছে বাজেটের কাঠামোগত দুর্বলতা কাটানোর।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরো বলেন, আমরা যখন বাজেটটা দেই তখন যে ধরণের আয়তন অবয়ব সর্ম্পকে ধারণা দেই বাস্তবায়নে দেখা যায় তার সাথে বড় ধারণের পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে।
সরকারী-বেসরকারী ব্যাংকে আর্থিক শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে কমিশন এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগকে শক্তিশালী করতে একটি জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি গঠনের পরামর্শ সিপিডি’র।