চট্টগ্রাম থেকে: রাজশাহী কিংসকে ৬৮ রানে হারিয়ে পরের রাউন্ডের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল খুলনা টাইটানস। অন্যদিকে ৯ ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতে হেরে শেষ চারের আশা অনেকটা ফিকে হয়ে গেল মোস্তাফিজ, মুমিনুলদের।
৯ ম্যাচে ছয় জয় নিয়ে খুলনা এখন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। তিন জয় নিয়ে শেষ থেকে দ্বিতীয় রাজশাহী।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজশাহী। আফিফ আর পুরানের অর্ধশতকে ৫ উইকেটে ২১৩ রানের বড় স্কোর গড়ে খুলনা। এই দুজনের পাশাপাশি ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ৩১ বলে ৪৯ করেন। পাঁচটি চারের পাশাপাশি দুটি ছয় ছিল তার ইনিংসে। আফিফ ৩৮ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৮ বছরের এই তরুণ কোনো চার মারেননি। ছয় হাঁকিয়েছেন পাঁচটি।
শেষ দিকে কার্লোস ব্র্যাথওয়েটকে নিয়ে রান বাড়িয়ে নেন পুরান। পুরান ২৬ বলে ৫৭ করেন। তিনটি ছয়ের পাশাপাশি ছয়টি চার মারেন তিনি। ব্র্যাথওয়েট তিন চার, তিন ছয়ে ১৪ বলে ৩৪ করেন।
খুলনারটি নিয়ে দুইশর ওপর আরও নয়টি সংগ্রহ দেখেছে বিপিএল। যার সর্বোচ্চটি ঢাকার, ২১৭/৪; রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ২০১৩ সালে। তখন অবশ্য দলটির নাম ছিল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স। সেই দলটির আরও তিনটি সংগ্রহ আছে দুইশর ওপর। ঢাকা ডায়নামাইটস নাম নেয়ার পরও দুইশ পেরোনো স্কোর দেখেছে ঢাকা।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে রাজশাহী। মুমিনুল আট বলে ১১ করার পর এক রান করে বিদায় নেন লুক রাইট। রনি তালুকদার ২৩ বলে ৩৬ করলেও চাহিদামতো রানরেট বাড়াতে ব্যর্থ হন। ১৯ বছরের প্রতিভাবান তরুণ জাকির হাসান ১২ বলে ১৯ করেন। এই মৌসুমে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। পরের ম্যাচে করেন ৩৬।
জাকিরের বিদায়ের পর আগের ম্যাচের নায়ক ড্যারেন স্যামি (১) শফিউলের বলে আউট হলে ব্যাকফুটে চলে যায় রাজশাহী। ঠিক পরের বলে মুশফিককে (১১) ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান। ফ্রাঙ্কলিন (১৪), মেহেদী (২৯) হ্যাটট্রিক সামাল দিলেও বড় হার থেকে দলকে রক্ষা করতে পারেননি।
খুলনার আবু জায়েদ ৪৮ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন। প্রথম তিন ওভারে ১৯ রান খরচায় ৫ উইকেট তুলে নেন শফিউল। শেষ ওভারে খরচ করেন ৭।