যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশী আমেরিকানরা এগিয়ে গেলেও এখনো পিছিয়ে আছে সে দেশের রাজনীতিতে। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে আগের প্রজন্ম কিছুটা সম্পৃক্ত হলেও মূল ধারার রাজনীতিতে আগ্রহী হয়ে উঠছে তৃতীয় প্রজন্ম। তারাই বাংলাদেশীদের অবস্থান আরো শক্ত করবে বলে আশা করেন প্রবাসীরা।
ছুটির দিনে ভার্জিনিয়ার ফাঁকা রাস্তা। ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত গ্রেটার ওয়াশিংটনের বাংলাদেশী আমেরিকান শিশুরা। কথা-বার্তা ইংরেজিতে চললেও টাইগারদের বীরত্বে অনুপ্রাণিত প্রবাসী নতুন প্রজন্মও।
এদের আগের প্রজন্মের মায়েদের অনেকেই নিজস্ব কৃষ্টি সংস্কৃতিকে ধরে রেখেই চাকুরি করছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারেও।
ওয়াশিংটনের ইউএস ফেডারেল গভর্মেন্ট প্রকৌশলী ইনার ইসলাম বললেন, ১৯৯১ সাল থেকে আমি ক্রমাগত কাজ করে চলেছি। প্রাইভেট সেক্টরে কাজ করেছি, ২০০১ সাল থেকে ফেডারেল গভর্মেন্টে কাজ করছি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে।
ওয়াশিংটনের ইউএস এভিয়েশনের কর্মকর্তা ড. কমর খান বললেন, আমি ইউএস ফেডারেল গভর্মেন্টে কর্মীদের যে ট্রেনিং দিতে হয় সেখানে ক্লাসরুম ও অনলাইন দুটোই ম্যানেজ করি।
সফল প্রবাসীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে স্থানীয় সরকারে দু’একজন ব্যতিক্রম ছাড়া রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা এখনো নির্বাচনে সমর্থন আর ক্যাম্পেইনেই সীমাবদ্ধ।
বসটনের বাংলাদেশী অ্যাসোসিয়েশন অব নিউ ইংল্যান্ডের সাবেক সভাপতি শাহীন খানের বক্তব্য, তাদের এবং তাদের আগের প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা কম আগ্রহী ছিলো স্থানীয় রাজনীতিতে। কিন্তু তৃতীয় যে প্রজন্ম আসছে, যারা এখন স্কুলে আছে, তারা আমেরিকার মূলধারার রাজনীতিতে বেশি আগ্রহী।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশী আমেরিকান পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ফ্রন্টের সভাপতি সালেহ আহমেদ বলেন, আমরা নানান জনকে সমর্থন করি, আমরা তাদের জন্য ফান্ড যোগাড় করি। আমরা আশা করছি আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমাদের কেউ সিটি কাউন্সিল অথবা অ্যাসেম্বলি মেম্বার হিসেবে নির্বাচিত হবে।
ব্যবসা আর চাকুরিতে যে ভাবে সফলতা এসেছে সেই পথ ধরেই রাজনীতিতেও সফলতা আসবে বলে আশাবাদী প্রবাসীরা।