রাজধানীর একাধিক ক্লাব ঘিরে র্যাব সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। এসব ক্লাবের বিরুদ্ধে অবৈধ ক্যাসিনো ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
র্যাব সূত্র জানায়, অভিযান পরিচালনার উদ্দেশ্যে কলাবাগান স্পোর্টিং ক্লাব, ধানমন্ডি ক্লাব, এজাক্স ক্লাব, কারওয়ান বাজার মৎসজীবী ক্লাব র্যাব সদস্যরা ইতোমধ্যে ঘিরে রেখেছে।
অন্যদিকে শুক্রবার এক অভিযানে নিকেতন ৫ নম্বর রোডের বাসা থেকে যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে দেহরক্ষীসহ আটক করা হয়েছে। এরপর ৫ নম্বর রোডের ১১৪ নম্বর ভবনের জিকেবি কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড শামীমের বাণিজ্যিক কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে নগদ ১০ কোটি টাকা ও ২০০ কোটি টাকার এফডিআর চেক জব্দ করে, উদ্ধার করে বিদেশি মাদক, অস্ত্র।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ইতোমধ্যে র্যাব-১ কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।
এর আগে ঢাকার ফকিরাপুলে একটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ ১৪২ জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ফকিরাপুলের ‘ইয়াংমেনস ক্লাব’ নামের ওই ক্যাসিনোর মালিক যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি অস্ত্র ও মাদকের মামলায় এখন ৭ দিনের রিমান্ডে আছেন।
চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। এরপর থেকে তৎপর হয়ে ওঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর একাধিক ক্লাব ঘিরে রেখেছেন র্যাব সদস্যরা।