রাজধানীর ধানমন্ডির সোবহানবাগ এলাকা থেকে ভুয়া ডিবি চক্রের ৮ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২। এসময় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগজিন, ১টি প্রাইভেটকার, ১টি চাপাতি, ২টি ডিবি পুলিশের জ্যাকেট, ২টি হ্যান্ডকাফ ও ওয়াকিটকি জব্ধ করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে র্যাব ২ কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: ইফতেখারুল মাবুদ এসব তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃত ভুয়া ডিবি সদস্যরা হলেন, দলনেতা হেমায়েত হোসনে ওরফে বিডিআর হেমায়েত ওরফে জসীম উদ্দীন, সহ দলনেতা জুয়েল হোসেন ওরফে জুয়েল রানা , ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, মো: মোরশেদুল ইসলাম খান, মোহাম্মদ আলী, আইয়ুব বেপারি ওরফে আইয়ুব আলী শেখ স্বপন সরকার ও শেখ নাফিস ওরফে শহর আলী।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইফতেখারুল মাবুদ জানান, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে দলনেতা হেমায়েতের বিরুদ্ধে রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে ৮টি, আইয়ুবের বিরুদ্ধে ৫টি ও জুয়েলের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে। ডাকাত দলটির সবাই ইতিপূর্বে জেলে থেকেছে। তাদের পরিচয়ও জেলখানা থেকে ।
‘জেলখানায় থাকাকালীন ভুয়া ডিবি চক্রের সন্ত্রাসীরা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর তারা সেখানে অপরাধের ছক কষে এখন সক্রিয়ভাবে অপরাধের সঙ্গে জড়িয়েছে।’
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে এই গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের কেউ আগে কর্মরত ছিল কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইখতেখারুল মাবুদ বলেন, এখন পর্যন্ত তারা এমন কোনো তথ্য আমাদের দেয়নি। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে তারা বড় ধরণের নাশকতা চালাতে চেয়েছিল। চক্রটি দীর্ঘ দিন ধরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে রাজধানী ও রাজধানীর আশেপাশে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন গাড়ি থামিয়ে ডাকাতি, ছিনতাই ও মালামাল লুটপাট করে আসছে।
এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে ডাকাতিও করছে এ চক্রটি। সর্বশেষ তারা এক মাস আগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে একটি গাড়ী ছিনতাই করেছে।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে ধানমন্ডির একটি বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়ে বাড়িটিতে প্রবেশের সুযোগের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। এসময় র্যাব হাতে নাতে তাদের গ্রেফতার করে।
ছবি: ওবায়দুল হক তুহিন