সেফাতুল্লাহ ওরফে সেফুদাকে নিয়ে বিতর্কিত প্রশ্ন করা রাজউক স্কুল এন্ড কলেজের সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার তাদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে রাজউক স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের প্রশ্নপত্রে সেফাতুল্লাহ ওরফে সেফুদাকে নিয়ে করা একটি প্রশ্ন ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
প্রশ্নপত্রের ছবিতে দেখা গেছে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের দশম শ্রেণির প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষায় সৃজনশীল ধাঁচে করা ওই প্রশ্নের উদ্দীপক অংশে সেফাতুল্লাহর নাম ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা বলে মন্তব্য করেছে কলেজটির কর্তৃপক্ষ।
প্রশ্নটির উদ্দীপক অংশে লেখা হয়েছে, “অদ্ভুত এক ধরণের মানুষ, সেফাতুল্লাহ সেফুদা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে বিভিন্ন কুরূচিপূর্ণ মন্তব্য করে। তরুণদের উদ্দেশ্যে সে বলে, ‘মদ খাবি, মানুষ হবি, আমি আরো এক গ্লাস খাইলাম’। তার কথার প্রতিবাদ করে একজন বিজ্ঞ আলেম বললেন, ‘তার মধ্যে যদি ইমানের সর্ব প্রথম এবং সর্বপ্রধান বিষয়ের প্রভাব পরিলক্ষিত হত, তাহলে সে হয়ে উঠত একজন আত্মসচেতন এবং আত্নমর্যাদাবান ব্যক্তি’।”
নিয়ম অনুযায়ী উদ্দীপকের আলোকে জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতামূলক চারটি প্রশ্ন করতে হয়। সেখানে লেখা প্রশ্নগুলো হলো- আকাইদ কী?, ইসলামের নাম ইসলাম রাখা হয়েছে কেন?, বিজ্ঞ আলেমের বক্তব্যে যে বিষয়টি ফুটে উঠেছে, তা আমাদের জীবনে কী প্রভাব ফেলতে পারে তা ব্যাখ্যা করো এবং তরুণদের উদ্দেশে দেওয়া সেফুদার বক্তব্যটি কিসের শামিল? এর ফলাফল বিশ্লেষণ করো।
তবে প্রশ্নপত্রে সেফাতুল্লাহর নাম ব্যবহার করাকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বলে মন্তব্য করেন রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শওকত আলম।