রাঙ্গামাটিতে বিদেশ থেকে আসা ৪৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বিদেশ ফেরতের তালিকা রয়েছে ২৫০ জনের। এরমধ্যে ৮০ জনের নাম, ঠিকানা সঠিক পাওয়া গেছে এবং তাদের সাথে কথা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে রাঙ্গামাটিতে নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধক আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
রাঙ্গামাটিতে করোনায় আক্রান্তদের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. মোঃ গোলাম মোস্তফা শুক্রবার রাত ৮টায় জানান: এ পর্যন্ত রাঙ্গামাটিতে ৪৩ জনকে হোম কোয়ান্টোইনে রাখা হয়েছে। অনেক বিদেশ ফেরত আছেন, যারা রাঙ্গামাটির ঠিকানা ব্যবহার করলেও চট্টগ্রামসহ অন্যান্য জায়গায় থাকে। তাই তাদের চিহ্নিত করতে পুলিশ সদস্যদের সাথে আমাদের কিছুটা গড়মিল হচ্ছে।
সেসময় রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, রাঙ্গামাটি জেলায় ইতোমধ্যে ২৫০ জন বিদেশ থেকে রাঙ্গামাটি এসেছে। তাদের মধ্যে ৮০ জনের নাম ঠিকানা সঠিক পেয়ে আমরা তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি। বাকীদের খোঁজে আমরা এখনো তৎপর রয়েছি। এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা দুর্গম হওয়ায় আমাদের টিমের কাজ অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা জানান: রাঙ্গামাটিতে নভেল করোনা ভাইরাস শনাক্ত করতে না পারলেও আগাম সতর্কতা হিসেবে রাঙ্গামাটিতে আসা ৪৩ প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে এবং তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
ডা. গোলাম মোস্তফা জানান: কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের কারো শরীরে জ্বর বা সর্দি কোনো উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়নি। তারপরও সর্তকতার অংশ হিসেবে এবং স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী উক্ত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন: বর্তমান সময়ে পরবর্তী আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত যারাই বাইরের দেশ থেকে রাঙ্গামাটিতে আসবে তাদের সবাইকে অন্তত ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আর এই বিষয়টি নিশ্চিত করবে রাঙ্গামাটি জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কুইক রেসপন্স টিমের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য সংক্রমণ মোকাবেলায় রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের নতুন একাডেমিক ভবনে ৫০ শয্যা, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিদর্শিকা কেন্দ্রে ৫০ শয্যা ও কাপ্তাইয়ে নতুনভাবে নির্মিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের ৫০ শয্যা মিলে সর্বমোট ১৫০ বেড প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।