পাহাড় ধসের ঘটনায় বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। গত তিনে পার্বত্য অঞ্চলের ৫ জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৬ জনে। এর মধ্যে শুধু রাঙামাটিতেই নিহতের সংখ্যা ১১০ জন। আজ বৃহস্পতিবার রাঙামাটিতে নিখোঁজ সেনা সদস্য মোঃ আজিজসহ আরো ৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া আরো অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে বলে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাদেরকেও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা বিভিন্ন স্থান থেকে এই ৫টি লাশ উদ্ধার করে। উদ্ধার কর্মীরা শহরের ভেদভেদি যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মনোঘর, লোকনাথ মন্দির এলাকা, শিমুলতলী, রূপনগর, মানিকছড়ি এলাকাসহ আশেপাশে এলাকায় আরো নিহতের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা চালায়।
রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এর শালবন এলাকায় ১০০ মিটার রাস্তা ৩০ ফুট জায়গা পাহাড়ের নীচে তলিয়ে গেছে। রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের বিভিন্ন স্থানে ১০০ মিটার রাস্তা ৪০থেকে ৫০ ফুট গভীরে তলিয়ে গেছে।
সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত মূল সড়কের পাশে পাহাড়ে পুনরায় কেটে বাইপাস করে সড়ক তৈরীর চেষ্টা করে সেনা বাহিনী ও সড়ক বিভাগের কর্মীরা।
রাঙামাটি চট্টগ্রাম সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত স্থান সমূহে মাটি সরানোর কাজ শুরু হলেও এখনো সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রাঙামাটি খাগড়াছড়ি সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙনেরও পাহাড় ধসের কারণে সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে।
অন্যদিকে রাঙামাটি শহরে গত ৪ দিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক বিঘ্ন ঘটায় টেলিযোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের মাটি ভেঙ্গে পড়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। পানি ও বিদ্যুৎ সংকটে মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।