জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত করতে এসব রোহিঙ্গাদের উপর নির্মম নির্যাতন চালায় সেখানকার সেনাবাহিনী।
রোহিঙ্গাদের তাড়াতে তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়, গণহত্যা চালায় সেনাবাহিনী। সেই সব ভয়াবহ নির্যাতন নিজের চোখে দেখেছে অনেক শিশু। ১০ বছর বয়সী রোহিঙ্গা শিশু উম্মে সালেহা তাদেরই একজন। ভয়াবহ সেসব নির্যাতনের প্রত্যক্ষদর্শী সালেহা।
মিয়ানমারে তাদের গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়ার দৃশ্যে নিজের চোখে দেখেছে উম্মে সালেহা। এরপর পালিয়ে এসেছে সেখান থেকে, চোখের সামনে নিজের গ্রামের ছেলেদের আগুনে পুড়ে মারা যেতে দেখেছে এই ছোট্ট শিশুটি।
‘আমার স্কুল ভালো লাগে। আমার ভাষা শিখতে ভালো লাগে,’ উম্মে সালেহা এমনটাই জানিয়েছিলো ইউনিসেফকে।
সে এখন উনচিপ্রাং ক্যাম্পে ইউনিসেফ পরিচালিত শিক্ষাকেন্দ্রে পড়াশোনা করছে। এর আগে ইউনিসেফের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য ১৩০০ নতুন শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করা হবে বলে জানানো হয়।
এইসব শিশুশিক্ষা কেন্দ্রগুলোতে ৪-৬ বছরের শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করা হবে। এবং ৬-১৪ বছরের ছেলে-মেয়েদের নন-ফরমাল শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। প্রত্যেক শিক্ষাকেন্দ্রে প্রতি শিফটে ৩৫ জন করে তিন শিফটে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হবে।
নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মানসিক সেবার দিকেও নজর দিচ্ছে ইউনিসেফ।