পশ্চিমবঙ্গের ‘রসগোল্লা’ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। রসগোল্লা নিয়ে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর উড়িশ্যাকে হারিয়ে রসগোল্লার জিআই রেজিস্ট্রেশন আদায় করে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেটর বা জিআই জানিয়ছে রসগোল্লা পশ্চিমবঙ্গের নিজস্ব সৃষ্টি, তা কোনও ভাবেই উড়িশ্যার নয়।
উড়িশ্যার মিডিয়াগুলো রসগোল্লাকে তাদের নিজস্ব উৎপাদিত পণ্য হিসাবে প্রচার করে ভৌগোলিক পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি পেতে আবেদন করে। এর বিপরীতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও মিষ্টি প্রস্তুত কারীরা তাদের পক্ষে সব ধরনের নথিপত্র দাখিল করেন।
ধারণা করা হয় সবচেয়ে রসালো মিষ্টি রসগোল্লার উৎপাদক নবীন চন্দ্র দাস।জিআই পণ্যর স্বীকৃতি পাওয়ার পর নবীন চন্দ্র দাসের উত্তরসুরী নাতী ধীমান দাস (কেসি দাস প্রাই: লি: নির্বাহী পরিচালক) বলেন, ‘আমরা খুব খুশি হয়েছি। এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই ছিল। আমাদের মূখ্যমন্ত্রীকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই।তার প্রচেষ্টার জন্য আমরা এই অধিকার পেলাম।’
রসগোল্লার উড়িশ্যার নিজস্ব হিসাবে দাবি করাতে আমরা খুবই অবাক হয়েছিলাম।কারণ রসগোল্লা বাংলার।রসগোল্লা যে বাংলার তা আবার প্রমাণ হয়ে গেলে এই স্বীকৃতির মাধ্যমে।এ স্বীকৃতি প্রাপ্তির পেছনে আমরা যারা কাজ করেছি তারা আজ খুব খুশি।
রসগোল্লা তাদের নিজস্ব বলে দাবি করে উড়িশ্যা। তাদের দাবি ছিল, পুরীর মন্দিরে রসগোল্লা মিষ্টিই নাকি জগন্নাথদেবকে ভোগ দেওয়া হত। এই যুক্তিতে রসগোল্লা নামের অধিকার দাবি করে তারা। ২০১৬ সাল থেকে রসগোল্লা দিবস পালনও শুরু করে উড়িশ্যা।
যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দেয় পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গ সরকার দাস পরিবারের সাহায্য নিয়ে রসগোল্লা একেবারেই পশ্চিমবঙ্গের সৃষ্টি এর পিছনে ঐতিহাসিক প্রমাণ তুলে ধরেন। প্রমাণ করেন জগ্নাথকে যে মিষ্টি ভোগ দেওয়া হয় তার সঙ্গে রসগোল্লার কোনও সম্পর্ক নেই।