মাত্র তৃতীয় টেস্টেই দেশকে দ্বিতীয়বারের মত জয়ের স্বাদ দিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান। তার ফলও মিলেছে হাতেনাতে। এক টেস্ট শেষেই ৩২ ধাপ এগিয়েছেন আফগান লেগ স্পিনার। একই টেস্টে বাংলাদেশ হারলেও উন্নতি হয়েছে সাকিব আল হাসানের। অলরাউন্ডারদের তালিকায় তিন থেকে দুইয়ে উঠে এসেছেন তিনি।
অন্যদিকে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্ট শেষে নিজের অবস্থান বিরাট কোহলির ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছেন সাদা পোশাকের সেরা ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ।
চট্টগ্রাম টেস্টের আগে রশিদের র্যাঙ্কিং ছিল ৬৯। ৩২ ধাপ এগিয়ে তার বর্তমান র্যাঙ্কিং ৩৭। বাংলাদেশকে ২২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারানোর ম্যাচে ১০৪ রান দিয়ে ১১ উইকেট নিয়েছেন আফগান অধিনায়ক। ইমরান খান ও অ্যালান বর্ডারের রেকর্ড স্পর্শ করা টেস্টে হয়েছেন ম্যাচসেরাও।
একই টেস্টে বাংলাদেশ হারলেও উন্নতি হয়েছে সাকিব আল হাসানের। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন টাইগার দলপতি। টেস্ট শুরুর আগে অলরাউন্ডারদের তালিকায় তিনে থাকলেও ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে বেন স্টোকসের অনুজ্জ্বলতায় দুইয়ে উঠে এসেছেন সাকিব। তার রেটিং পয়েন্ট ৩৯৭।
৪৭২ পয়েন্ট নিয়ে টেস্ট অলরাউন্ডারের তালিকায় শীর্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ৩৮৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ভারত অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। দুই পয়েন্ট কমে চারে ইংলিশ অলরাউন্ডার স্টোকস।
ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের আগে কোহলির সঙ্গে স্মিথের পয়েন্টের ফারাক ছিল মাত্র ১। ম্যাচ শেষ হতেই সেই ব্যবধানটা এখন দাঁড়িয়েছে ৩৪’এ। স্মিথের রেটিং পয়েন্ট এখন ৯৩৭। দুইয়ে থাকা কোহলির পয়েন্ট ৯০৩।
বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শীর্ষে থাকা তামিম ইকবালের র্যাঙ্কিং ২৪। সাকিবের র্যাঙ্কিং ২৯।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছেন প্যাট কামিন্স। ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে ৭ উইকেট নিয়েছেন এই অজি পেসার। দুইয়ে থাকা কাগিসো রাবাদার সঙ্গে তার পয়েন্টের ফারাক ৬৩। ৮৩৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছেন ভারতীয় পেসার জসপ্রিত বুমরাহ।
বাংলাদেশিদের মধ্যে শীর্ষে সাকিব।, তার র্যাঙ্কিং ২১। ঠিক তার পরেই আছেন আরেক টাইগার স্পিনার তাইজুল ইসলাম।