চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

রশিদকে নিয়ে ‘ভয়ের’ কিছু দেখেন না মোসাদ্দেক

চট্টগ্রাম থেকে: ‘আমরা রশিদ খানকে ভয় পাই এ কথা আগে কখনো বলিনি। এখানে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’ আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের তরুণ অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের কথা এটি।

বোলিংয়ে আসার আগে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন রশিদ। ফিরে বল করেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। চোট যে তাকে কাবু করতে পারেনি তার প্রমাণ দেন প্রথম ওভারেই মাহমুদউল্লাহকে এলবিডব্লিউ করে। প্রথম দুই ওভারে ১২ রান দেয়া রশিদের তৃতীয় ওভারে ১৮ তুলে নেন সাকিব-মোসাদ্দেক। তাতেই বাংলাদেশ চলে যায় জয়ের কাছে।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের নায়ক সাকিব আল হাসান, পার্শ্বনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, দুজনে ১৯তম ওভারে চড়াও হন বিশ্বসেরা এই লেগস্পিনারের উপর। তাতে হিসেব সহজ হয়ে যায়। বাংলাদেশ এক ওভার হাতে রেখেই ৪ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

বিশ্বসেরা লেগিকে শেষদিকে সাবলীলভাবে খেলতে পারায় মোসাদ্দেকের কাছে প্রশ্ন ছিল- রশিদ ভয় এবার কাটল কিনা! সেটির জবাবেই মোসাদ্দেক ওভাবে বললেন।

আরেক প্রশ্ন, চোটে ভোগার কারণেই কি নির্বিষ ছিলেন রশিদ? মোসাদ্দেক তেমনটা মনে করেন না, ‘ও(রশিদ) চোট পেয়েছিল, দ্বিতীয় বলে কিন্তু উইকেটও নিয়েছে। হয়ত ইনজুরিতে না থাকলে আরেকটু ভালো বোলিং করতে পারত। আসলে এটা ক্রিকেট খেলা। একটা ওভারে আমাদের চড়াও হতেই হত। তাই আমরাও ওদিকে (রান) চোখ রেখেছি। সে ইজুরিতে ছিল না কিনা আমরা খেয়াল করিনি।’

চোটে পড়া রশিদ ফাইনাল খেলতে পারবেন কিনা সেটি নিয়ে আছে কিছুটা অনিশ্চয়তা। তবে আফগান টিম ম্যানেজমেন্ট তাকিয়ে থাকবে ফাইনালের আগমুহূর্ত পর্যন্ত। দলটির ম্যানেজার জানিয়েছেন, হাতে দুই দিন সময় আছে। দেখা যাক কী হয়।

মোসাদ্দেক মনে করেন ফাইনালের আগে এই জয় দলকে আত্মবিশ্বাসী করেছে। তবে ফাইনাল যে একদমই ভিন্ন এক লড়াই সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন।

‘জয় সবসময়ই আত্মবিশ্বাস যোগায়। আমর একটা মোমেন্টাম পেয়েছি। ওদের সঙ্গে কীভাবে খেলতে হবে। আগেই বলেছিলাম, ক্যালকুলেটিভ খেলতে হবে। সেটা করতে পেরেছি। আশা করিও ফাইনালেও ধরে রাখতে পারব।’

‘যদি পাঁচটা ম্যাচ জেতা থাকেন তাও ফাইনাল কিন্তু ফাইনাল। ফাইনালে যেকোনো কিছুই হতে পারে। এদিক থেকে (শেষ ম্যাচে জয়) আমরা একটু আত্মবিশ্বাসী যে, আমরা একটা ম্যাচ বেশি জেতা আছি। আমরা যে প্রক্রিয়ায় খেলে যাচ্ছি আমাদের সেখানেই থাকা উচিত।’