পয়লা বৈশাখে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে রমনা বটমূলে বোমা হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিল শুনানির কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আংশিক শুনানি হওয়া এবিষয়টি বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের আজকের বিশেষ বেঞ্চ কার্যতালিকা থেকে (আউট অফ লিস্ট) বাদ দিয়েছেন। এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান, আশরাফুল হক জর্জ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদা পারভীন ফ্লোরা। আর আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির।
আজকের আদেশের বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘এই বিষয়টি দুই বিচারপতির যে বেঞ্চে আংশিক শুনানি হয়েছিল বর্তমানে সেই দুই বিচারপতি এক বেঞ্চে না থাকায় বিশেষ বেঞ্চ হিসেবে আজ তারা বিষয়টি কার্যতালিকা থেকে বাদের আদেশ দিয়েছেন।’
সকালে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে দেখা যায়, বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের বিশেষ বেঞ্চে বিষয়টি আজ বিকেল ৪ টা থেকে ৪ টা ১৫ মিনিটে শুনানির জন্য নির্ধারিত ছিল।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা হয়। ন্যাক্কারজনক ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই ৯ জন নিহত হন। পরে হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। ওই ঘটনায় রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করা হয়। বোমা হামলার ঘটনায় হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত রায় দেন। সে রায়ে হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে সিলেটে গ্রেনেড হামলার মামলায় ইতিমধ্যে মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
এদিকে বিচারিক আদালতের রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্ট আসে। অন্যদিকে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা জেল আপিল ও আপিল করেন।