রমজানের শুরুতেই বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি, রাস্তাঘাটে ছিনতাই, ঈদকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি ও অজ্ঞান-মলম পার্টির তৎপরতা অনেক বেড়ে যায়। এছাড়াও রমজানের ঈদকে সামনে রেখে জাল নোটের অসৎ ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে।
এ কারণে এই পাঁচ ধরনের অপরাধ ঠেকাতে কৌশলী ভূমিকায় মাঠে নেমেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। তাদের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে রাজধানীকে।
বাস, লঞ্চ ও ট্রেন স্টেশনেও ছিনতাই ও অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা রোধে সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা কাজ করবেন।
ইফতারের সময় রাস্তাঘাট ফাঁকা হওয়ার সুবাধে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এছাড়া সেহরির সময় অনেকেই রেস্টুরেন্টে খেতে যায়। তারা যেন ছিনতাইকারীর কবলে না পড়েন সেজন্য রাতে পুলিশি টহল বাড়ানো হবে।
পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, এসব প্রতিরোধের জন্য রাজধানী ঢাকার প্রতিটি এলাকায় চেকপোস্ট ও টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। চোর ও ছিনতাইকারীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান, ব্লকরেইড পরিচালনা করা হবে। এছাড়া জালনোট কারবারিদের ধরতেও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, নগরবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে রমজানের সময় পুলিশি নিরাপত্তা ঢেলে সাজানো হয়েছে। বাস টার্মিনাল , লঞ্চ ঘাট, শপিংমলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
ঈদের কেনা কাটায় সময় শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে নারী হয়রানি ও ইভটিজিং রোধে বিপুল সংখ্যক মহিলা পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অজ্ঞান ও মলম পার্টি প্রতিরোধে গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারি ও টহল অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
ঈদকে সামনে রেখে বেতন-ভাতা নিয়ে শ্রমিকরা যেন রাস্তায় নেমে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য গার্মেন্টস মালিকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে ডিএমপি।
রমজান মাসে রাজধানীতে তীব্র যানজট ঠেকাতে ট্রাফিক পুলিশদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় যেখানে সেখানে পার্কিং, উল্টো পথে গাড়ি চলাচল বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জাল নোট সনাক্তের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলে সনাক্তকরণ মেশিন সরবরাহ করা হবে।