রমজানে সৌদি আরবের জেদ্দার প্রাণকেন্দ্র ঐতিহাসিক বালাদ হয়ে ওঠে আলোকিত। এই মাসে রমজানের আবহে বালাদকে সাজানো হয়। এখানকার রাস্তায় বসে ভ্রাম্যমাণ খাবারের নতুন দোকান। তাই এখানে সপরিবারে কেনাকাটার ব্যবস্থা হয় এই মাসে।
ইতিহাস সমৃদ্ধ জেদ্দার বালাদে কেনাকাটা সহ ইফতার এবং তারাবিহ নামাজের জন্য লোকজন ভীড় করেন। প্রতিবছর বালাদে আসা ওসখানকার মানুষের পারিবারিক ঐতিহ্য।
এমনই একজন ২৯ বছর বয়সী জুহারির আবদুল্লাহ। তিনি সৌদি গেজেটকে বলেন, ‘এই উৎসবের অংশ হতে আমি এবং আমার বাবা বালাদে আসি। আমরা এশার পর আসি এবং বন্ধু-আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা করি, নতুন বন্ধু বানানো সহ উৎসবের আলোতে কফি এবং পথের পাশের দোকান থেকে বাহারি রকমের খাবার খাই।’
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া নোরা আহমদ বলেন, ‘এই সময় বালাদ থেকেই আমরা ঈদের কেনাকাটা করি। আমার বোন আর আমি বালাদে রমজান উপভোগ করি। এখানকার ইফতারের সমাগমে উপস্থিত হয়ে তা উপভোগ করা সুখী পরিবার আমরা।’
ঐতিহাসিক জেদ্দা নগরী মুসলিম উম্মাহর জন্য মক্কার প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এই তীর্থস্থানটি গত তিন বছর আগে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা অর্জন করে।
এখানকার আরো কিছু জনপ্রিয় স্থান হলো, গোল্ড সউক, নাসিফ হাউজ, জেদ্দা পৌর জাদুঘর, শারবাতলি হাউজ, আল শাফি এবং জুলফিকার মসজিদ।
নিয়মিত নাসিফ হাউজে যাওয়া জেদ্দায় বসবাসকারী ভারতের শিক্ষক রাশা ইকবাল বলেন, ‘এখানে মসজিদে তারাবিহ আদায় করতে আমি অনেক পছন্দ করি। বালাদে কম দামে সুগন্ধি, স্বর্ণের গহনা, ইলেকট্রনিক পণ্য সহ প্রায় সবকিছুই পাওয়া যায়। এছাড়াও এখানে আসলে স্থানীয় সংস্কৃতি, পুরাতন ভবনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলা যায়, যা তাদের ঐতিহ্যের প্রতি আপনাকে আকর্ষণ করবে।’