অপরাধ একটি বৈশ্বিক প্রপঞ্চ, সৃষ্টির শুরু হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত অপরাধ চলমান রয়েছে এবং কালক্রমে অপরাধের ধরণ, বৈচিত্র্যতা ও ক্ষতিগ্রস্থতার রকমফের পরিলক্ষিত হয়। অপরাধ প্রতিকার ও প্রতিরোধে নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা স্বত্ত্বেও অপরাধের হার ও মাত্রা কমিয়ে আনা বা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হলেও সমূলে নিপাট করা প্রায় অসম্ভব। অর্থাৎ এ কথাটি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলা যায়, যতদিন সমাজ ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকবে ততদিন প্রত্যেক সমাজে অপরাধ বহাল তবিয়তে থাকবে। সভ্য সমাজ ও বর্বর সমাজ উভয় জায়গায়তে অপরাধের বহি:প্রকাশ লক্ষ্য করা যায় এবং অপরাধের তারতম্য পরিলক্ষিত হয়ে থাকে।
কাজেই বলা যায়, অপরাধ এবং অপরাধীদের বিকাশ ও বিস্তারের ক্ষেত্রে নিয়ামক হিসেবে সমাজে উদ্ভূত অসংখ্যা বিষয়াদি জড়িত থাকে। সুতরাং রমজান মাসেও অপরাধীদের লোলুপ দৃষ্টি অপরাধ কর্মকাণ্ডকে বেগবান করবে সে বিষয়ে সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই এবং করোনার নেতিবাচক প্রভাবেও সামাজিক অবক্ষয়, নীতিভ্রষ্টতা, হানাহানি, দ্বন্দ্ব সংঘাতের সৃষ্টির পাশাপাশি মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশে জঘন্য অপরাধও সংঘটিত হবার আশংকা থেকেই যায়।
অপরাধ এবং অপরাধীকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। যেমন: ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, আইনের মাধ্যমে বিচার বিশ্লেষণের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অপরাধকে বিশ্লেষণ করা যায়। ধর্মীয় বিষয়টি সামনে নিয়ে আসার উদ্দেশ্য হলো মুসলিম উম্মাহর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যগত ইবাদতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাস হলো রমজান। ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা রমজান মাসের ফজিলতের জন্য সারাবছরব্যাপী অপেক্ষা করে থাকেন কেননা নেকী এবং সওয়াবের গুরুত্ব অনুধাবন করে রমজান মাসের মাহাত্ন্যকে বিবেচনায় নিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন সকলেই।
বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাবে রমজানের সামাজিক ও প্রথাগত বিষয়াদির জাজ্বল্য কিছুটা ম্রিয়মান হলেও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ হতে মুসলমানের জীবনে রমজানের গুরুত্ব অপরিসীম। ধর্মীয় অনুশাসন ও রীতিনীতির কারণে রমজানে মূলত ঐক্য, ভাতৃত্ব, সহমর্মিতা, সৌহার্দ এবং সম্প্রীতির আবির্ভাব ঘটে থাকে। অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় প্রত্যেকর মাঝে একটি অভূতপূর্ব পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় যেখানে পারস্পারিক বিদ্বেষ, হিংসা, ক্লেশের বিলুপ্তি ঘটে থাকে। অর্থাৎ রমজান মাসে সম্প্রীতির সুবাতাস প্রত্যেকের মাঝে ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়নে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে থাকে। প্রত্যেক ধর্মই সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম কানুন, রীতি নীতি, বিধি নিষেধ এবং অনুশাসনের উপর ভিত্তি করেই হয়ে থাকে। আপনি যদি মুসলমান ধর্মের অনুসারী হয়ে থাকেন আপনাকে অবশ্যই কুরআনের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে এবং মহানবী (সা.) প্রদত্ত হাদিস মোতাবেক জীবন পরিচালনা করতে হবে। কুরআন, সুন্নাহ পরিপন্থী যে কোন কর্মকাণ্ডই অপরাধ হিসেবে পরিগণিত হবে, তদ্রুপ অন্যান্য ধর্মে বিশ্বাসী অনুসারীদের জন্যও উক্ত নিয়ম, রীতি নীতির চর্চা করতে হবে এবং নিয়ম নীতির ব্যত্যয় হলেও সেসব কর্মকাণ্ড অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হবে।
[হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর; যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো। সূরা বাকারা: ১৮৩] তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয়, অর্থাৎ যার অন্তরে সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভয় সৃষ্টি হবে তার দ্বারা কোন ধরনের অপরাধ প্রবৃত্তি সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। উল্লেখিত হাদীসের মাধ্যমে স্পষ্টতই বোঝা যায়, রমজান মাসে সাওম সাধনার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন সহজ হয় কেননা রমজান মাসে সামগ্রিক পরিবেশ এমনভাবে পরিপুষ্ট থাকে যেখানে সকলের জন্য ধর্মীয় অনুশাসন মানা অন্য মাসের তুলনায় সহজ ও স্বাভাবিক হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন; ‘জনগণের জীবিকা সংকীর্ণ করে যে ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য গুদামজাত করবে, সে বড় অপরাধী হিসেবে গণ্য হবে।’ (মুসলিম ও তিরমিজি)।
প্রিয় নবী (সা.) আরও বলেন, ‘মুজরিম তথা অপরাধীর পক্ষেই সম্ভব পণ্য মজুত করে জনগণের সংকট সৃষ্টি করা।’ (মুসলিম)। এই রমজান মাসে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কারা অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে তা উল্লেখিত হাদীসের মাধ্যমে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। কেননা এক শ্রেণির ব্যবসায়ী রয়েছে যারা পণ্য মুজদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কিংবা মজুদ রেখে দাম বৃদ্ধি করে করোনার সংকটেও সাধারণ মানুষকে বিপদের মধ্যে ফেলে দিতে পিছপা হচ্ছে না। এরাই প্রকৃত অর্থে অপরাধী যারা সাধারণ মানুষকে জাতির সংকটকালেও দুর্দশার মধ্যে পতিত করছে, ব্যবসায়ীরা নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে চলছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বাজার মনিটরিং করার পূর্বে যে পেঁয়াজের মূল্য ৮০ টাকা রাখা হয় সেখানে পুলিশ আসার পরে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হয় ৪৫-৫০ টাকায়। সুতরাং অসৎ ও মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে অপরাধীর সার্টিফিকেট নিয়েই ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে।
সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া সামাজিক মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করে থাকে। বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের বিচরণ ও ধ্বংসাত্নক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা শিশু কিশোরদের পারিবারিক ও সামাজিক শিক্ষার গুরুত্বকে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন কারণ গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যাদের সামাজিকীকরণে সমস্যা রয়েছে ঐ সকল শ্রেণির ছেলেমেয়েরা সন্ত্রাসবাদের মতো ঘৃণ্য ও জঘন্য কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হয়েছে। প্রত্যেক সমাজে শিশু কিশোরদের বেড়ে উঠার জন্য কিছু রীতিনীতি ও মূল্যবোধের উপর পরিচালিত হতে হয়। সামাজিক রীতি নীতি ও মূল্যবোধের উপর পরিচালিত হওয়ার সুযোগ পরিহার করে নিজের মতো করে যেই চলবে সেই কিন্তু সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবে। সিয়াম সাধনার মাসে রোজাদারের সামনে কেউ যদি পানাহার করে থাকে তবে উক্ত মানুষটি সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে অপরাধী কিংবা দিনের বেলায় খাবার ও রেস্টুরেন্ট চালু রাখাও সমাজের দৃষ্টিতে অপরাধের শামিল কারণ সমাজের অধিকাংশ মানুষই রোজা রাখায় অভ্যস্ত। ভিন্ন দৃষ্টিতে বলা যায়, করোনার সংকটে প্রায় প্রত্যেক জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ দুর্যোগ মুহূর্তে যারা অতীব প্রয়োজন ব্যতীত হরহামেশাই ঘর থেকে বের হয়ে পূর্বের ন্যায় আড্ডা দেয়া, গণজমায়েত সৃষ্টি করে অন্যদের বিপদে ফেলার পায়তারা করছে তারা প্রত্যেকেই অপরাধী।
কেননা, সামাজিক প্রথা ও রীতি নীতিতে অন্যকে সমস্যায় উপনীত করার কোন এখতিয়ার কাউকে দেওয়া হয়নি। কাজেই সামাজিকভাবে সৃষ্ট অপরাধসমূহকে রমজান মাসে নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে পরবর্তীতে সামাজিক অপরাধ প্রতিকার ও প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় ভূমিকা পালন করা যাবে।
আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ হল; বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালনার নিমিত্তে যে ধরনের আইন কানুন রয়েছে তার ব্যত্যয় ঘটানোই অপরাধ। যেমন, পেনাল কোড ১৮৬০, পুলিশ এ্যাক্ট ১৮৬১, কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৬৮, ইভিডেন্স এ্যাক্ট সহ বাংলাদেশে প্রচলিত আইনে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখিত অনুশাসনের ব্রেক ডাউনই হলো অপরাধ। করোনার সংকটে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা জনগণকে সরকার ঘোষিত লকডাউনের উপর চলার অনুশীলন করানোর দায়িত্ব নিয়ে দিনভর কাজ করে যাচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায় পুলিশ সদস্যরা করোনায় সংক্রমিত হয়ে কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে রয়েছেন। এ সুযোগে ওৎ পেতে থাকা দুষ্কৃতিকারীরা বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে নানা রকমের অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে পরিচয় গোপন রেখে করোনা বিশেষজ্ঞ হয়ে অপরাধীরা সুকৌশলে বিভিন্ন বাড়িতে হানা দিয়ে সবকিছু লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। শহর এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকায় পুলিশের নিয়মিত টহল ও করোনার কারণে মানুষের ঘরে থাকার কারণে অপরাধীরা ভয়ে সচকিত থাকে। তাছাড়া পরিবেশগত নিরাপত্তার কারণে ও সিকিউরিটি ব্যবস্থা উন্নত থাকায় শহরে বর্তমানে অপরাধের হার কিয়দংশ হলেও কমবে গ্রামের তুলনায়।
গ্রামের চিত্র কিছুটা হলেও ভিন্ন, অধিকাংশ গ্রামে সরকার ঘোষিত লকডাউন তেমন মানা হচ্ছে না যার প্রমাণ দেখা যায় রমজানের তারাবীহ সালাতে গ্রামের কেন্দ্রীয় মসজিদে সরকারের নিয়ম মানা হলেও পাড়া মহল্লায় যে সকল মক্তব বা পাঞ্জেকানা রয়েছে সেখানে দলবেঁধে মানুষ জামাতে শরীক হয়ে তারাবীহ এর নামাজ আদায় করছে। ওৎপেতে থাকা সুযোগ সন্ধানীরা এ সুযোগে তাদের অপকর্ম করার সুযোগ পাচ্ছে কেননা গ্রামে সিকিউরিটি নিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্বিগ্নতা খুবই কম। করোনার দীর্ঘমেয়াদী লকডাউনে গার্মেন্টস শিল্প বন্ধ থাকায় গ্রামের উঠতি বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে হতাশা, বিষাদগ্রস্থতা, মানসিক বৈকল্য সার্বিকভাবে বেকারত্বের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, উঠতি বয়সি ছেলেমেয়েদের অধিকাংশেই বিভিন্ন গার্মেন্টেসে কর্মরত। পূর্বোক্ত বৈশিষ্ট্যের কারণে উঠতি বয়সিরা মটিভেটেড অফেন্ডারে পরিণত হয় অর্থাৎ অপরাধ করার ক্ষেত্রে মনোবৃত্তিক প্রস্তুতি জাগরুক হয়। গ্রামে, পাড়া মহল্লায় ইতিমধ্যে এহেন কর্ম সাধনকারী একটি গ্রুপ তৈরি হয়ে গিয়েছে এবং ছোট ছোট অপরাধও সংঘটিত করছে। যেমন, ঘরে প্রবেশ করে মানিব্যাগ থেকে টাকা চুরি, মোবাইল চুরি, দামি জিনিস অন্যত্র সরিয়ে ফেলা সহ অন্যান্য পিটি ক্রাইম শুরু হয়ে গিয়েছে। যে সকল ছেলেরা এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছেন তারা কিন্তু পেশাদার অপরাধী না। সময় এবং পরিস্থিতি তাদেরকে অপরাধ জগতে পা রাখতে উদ্বুদ্ধ করছে। গ্রামে পরিবেশগত নিরাপত্তা নেই বললেই চলে এবং করোনার সংকটে পুলিশ অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকায় সিকিউরিটি নিয়ে উঠতি বয়সিদের কোন শঙ্কা না থাকায় তারাও অপরাধের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
বিভিন্ন গবেষণা ও অপরাধবিজ্ঞানীদের লেখা হতে জানা যায়, করোনাকালে সামগ্রিকভাবে অপরাধের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। সহিংস অপরাধের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমে আসছে, তবে বাড়ছে সাইবার অপরাধের সংখ্যা। মাদক গ্রহণ ও চোরাচালানের সংখ্যাও পালাক্রমে কমে যাচ্ছে, বাড়ছে নারীর প্রতি সহিংসতা ও পারিবারিক নির্যাতন, হেট ক্রাইমের (ঘৃণা উদ্রেককারী) সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির সংখ্যা ও হার অন্য সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে একটি কথা হলফ করে বলা যায়, লকডাউনের পরিধি যতই বৃদ্ধি পাবে অপরাধের হার ও ভয়াবহতা (ক্ষেত্র বিশেষে লুটতরাজ, রাহাজানি, চাঁদাবাজির পরিপ্রেক্ষিতে খুন সহ যে কোন ধরনের ভয়ংকর অপরাধ সংঘটিত হতে পারে) দিন দিন বৃদ্ধি পাবার আশংকা থেকেই যায়। সে বিষয়টি আমলে নিয়ে সরকারের যে প্রণোদনা রয়েছে তার সঠিক বন্টন সুনিশ্চিত করার মাধ্যমে লকডাউনের কার্যকারিতা প্রমাণ সাপেক্ষে অপরাধ প্রবণতা ও অপরাধের সংখ্যাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। পাশাপাশি করোনাকেও নিয়ন্ত্রণে আনা সহজতর হবে সকলের জন্য। কাজেই বলা যায়, মহিমান্বিত রমজান মাসে ধর্মীয়, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অপরাধীদের অপরাধ থেকে নিবৃত্ত করার প্রয়াসে সামাজিক সচেতনতার পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ গ্রাম, পাড়া-মহল্লায় প্রতিবেশগত নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার প্রয়োজন রয়েছে।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)