দুই দিনের সফরে ভারতে গিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রবীন্দ্র ভবন’ দেখে মুগ্ধ ও বিমোহিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজের এই মুগ্ধতার কথা প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন সেখানকার পরিদর্শন বইয়ে।
তিনি লিখেছেন: “বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য ‘রবীন্দ্র ভবন’-এ কবিগুরুর রচিত পাণ্ডুলিপি, পত্রাবলী এবং চিত্রকর্মের এক সুবিশাল ভাণ্ডার পরিদর্শন করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত বোধ করছি। এ ভবনের সংগ্রহসমূহ আমাকে মুগ্ধ করেছে এবং সংরক্ষণের লক্ষ্যে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের গৃহীত উদ্যোগসমূহ বাংলা তথা বিশ্ব সাহিত্যের অমূল্য অবদান রক্ষায় প্রশংসার দাবিদার।
এছাড়া এখানে অবস্থিত রবীন্দ্র স্পর্শধন্য উত্তরায়ণ কমপ্লেক্স এর যথাযথ সংরক্ষণও আমাকে বিমোহিত করেছে। আশা করি ভবিষ্যতেও কবিগুরুর স্মৃতিসমূহ সংরক্ষণে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ একই রকম তৎপরতা বজায় রাখবেন যাতে বিশ্ববাসী কবিগুরুর সৃষ্টিকর্ম সম্পর্কে অধিকতর জ্ঞান আহরণ করতে পারবেন। আমি রবীন্দ্রভবনের স্থায়ীত্ব ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।”
শেখ হাসিনা প্রথম বিদেশি কোনো প্রধানমন্ত্রী যিনি রবীন্দ্র ভবনে কবিগুরুর ঘরে পা দিয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২ দিনের ভারত সফরে শুক্রবার কলকাতা যান শেখ হাসিনা। বিকেলে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যৌথভাবে নবনির্মিত বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় একমঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন শেষে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন শেখ হাসিনা। বিকেলে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শনে যান। সন্ধ্যায় হোটেল তাজ বেঙ্গলে কলকাতার ব্যবসায়ী নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
শনিবার সকালে আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তনে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। সেখানে তাকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি দেওয়া হবে।
কলকতায় ফিরে বিকালে নেতাজী জাদুঘর পরিদর্শন করার পর শনিবার রাতেই প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।