আজ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৪ তম জন্ম দিন। বাঙালির প্রাণের মানুষ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী নানা আয়োজনে সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে।বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বদরবারে এবং বিশ্বসাহিত্যকে বাঙালির আঙিনায় আনা রবি ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন পৃথক বার্ণীতে কবিগুরুর অবদানের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আধুনিক বাঙালির মননে ও সৃজনে জ্যোতির্ময় এক প্রতীক। বাঙালির প্রাণের মানুষ কবিগুরু প্রায় একক প্রচেষ্টায় বাংলা সাহিত্যকে আধুনিকতায় উজ্জ্বল করে তুলেছিলেন। বিশ্বসাহিত্য আসরে তিনি মাতৃভাষাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে বাংলা ও বাঙালিকে অনন্য এক মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন এই কিংবদন্তী। এ কারণে বাঙালির প্রাণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হয়ে রয়েছেন চিরভাস্বর। হবেই বা না কেন? কোথায় নেই কবিগুরুর পায়ের চিহ্ন?
একই সঙ্গে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, গীতিকার, সুরকার, প্রাবন্ধিক, চিত্রশিল্পী, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক হিসেবে রবীন্দ্রনাথ দেশ ও জাতিকে উজাড় করে দিয়েছেন। গানে, কবিতায়, নাটক-উপন্যাস ও গল্পে তিনি বাংলা এবং বাঙালিকে বাঙময় করে বর্ণিল রংয়ে রাঙিয়ে গেছেন।
তাইতো কবিগুরুর জন্মদিন বাঙালির জীবনে এক আনন্দঘন উৎসবের উপলক্ষ্য। এবার সে উৎসবে যুক্ত হয়েছে বিশেষ মাত্রা। দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে এবার রবীন্দ্র স্পর্শ-ধন্য সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হবে। যেখানে শিক্ষার্থীরা রবীন্দ্র গবেষণার পাশাপাশি পাবে উচ্চশিক্ষার সুযোগ। তাছাড়া রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন এমনকি গ্রাম পর্যায়েও নানা ব্যঞ্জনা-আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ১৫৪ তম জন্মজয়ন্তী।