ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এহসান রফিকের উপর হামলাকারী মোঃ ওমর ফারুককে (মার্কেটিং বিভাগ ২য় বর্ষ) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে, অন্য পাঁচজনকে ২ বছর এবং আরেকজনকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতদের সবাই ক্ষমতাসীন দলের সহযোগি সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা কমিটির পদধারী।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর ড.গোলাম রব্বানী তাদের বহিষ্কারের বিষয়টি চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করে বলেন, ওই ঘটনার তদন্তের প্র্রতিবেদন অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে একজনকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং পাঁচজনকে দুবছর জন্য এবং একজনকে ১ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দু’বছরের জন্য বহিষ্কার হওয়া পাঁচজন হলেন সামিউল ইসলাম সামি (সমাজবিজ্ঞান,২য় বর্ষ), আহসান উল্লাহ (দর্শন,২য় বর্ষ), মোঃ.রুহুল আমিন বেপারী(সাংবাদিকতা বিভাগ,২য় বর্ষ), মোঃ. মেহেদী হাসান হিমেল (উর্দু বিভাগ, ২য় বর্ষ), ফারদিন আহমেদ (লোকপ্রশাসন বিভাগ,২য় বর্ষ)।
হামলায় প্ররোচনার দায়ে মোঃ. আরিফুল ইসলামকে (শিক্ষা ও গবেষণা, ৪র্থ বর্ষ) ১ বছর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং স্থায়ীভাবে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ঘটনার রাতে এহসান রফিককে মারধর শুরু করে এস এম হলের কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। পরের দিন বুধবারও তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। মারধরের কারণে একটি চোখে মারাত্মকভাবে আঘাত পান এহসান। পরের দিন এক সময় পালিয়ে ওই কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসে।
ঘটনায় হল প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং তার প্রতিবেদন এক সপ্তাহের মধ্যে দিতে বলা হয়। জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির সমন্বয়ক অধ্যাপক সাব্বীর আহমেদকে একাধিকবার কল দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।