চাষ ও স্থানীয় বাজার সৃষ্টির পাশাপাশি রফতানিখাতেও নতুন করে জেগে উঠেছে পাট। বিশ্ববাজারের চাহিদা মাথায় রেখে দেশেই তৈরি হচ্ছে আকর্ষণীয় ও বৈচিত্রময় পাটপণ্য।
কৃত্রিম তন্তু ব্যবহারের কুফল এক নেতিবাচক সংকেত হয়ে দেখা দিয়েছে পৃথিবী জুড়েই। তাই নতুন করে আবার বেড়েছে পাটজাতপণ্যের চাহিদা। বিশ্ববাজারে বেড়েছে দাম, একই সঙ্গে বেড়েছে রফতানিও।
ইউরোপ আমেরিকাসহ পৃথিবীর বাজারগুলোতে যাচ্ছে পাটের বৈচিত্রময় এক’শ একত্রিশটি পণ্য। জুতোর সোল ও জুতো থেকে শুরু করে পাটের তৈরি রকমারি ব্যাগ, পোশাক সবকিছুই দৃষ্টি কাঁড়ছে উন্নত বিশ্বের অভিজাত মানুষদের।
সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারি বলেন, বাইরের দেশগুলো যেভাবে চায় আমরা সেভাবেই করার চেষ্টা করি এবং তাতে সাড়াও মিলছে।
দেশে এমন কর্মব্যস্ত শতভাগ রফতানিমুখি পাটজাতপণ্যের ব্যক্তিমালিকানাধীন শিল্প কারখানা এখন শতাধিক। যারা প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যাচ্ছে অন্য অনেক দেশের সঙ্গে।
মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারি বলেন, আমরা যদি মানকে ঠিক রাখতে পারি তাহলে পাটকে বা সোনালী আঁশকে সোনার মতো দামেই বিক্রি করতে পারবো।
সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে ও তৎপরতা অব্যাহত থাকলে রফতানি বাণিজ্যে পাটের সাফল্য বহুদূর পৌঁছুবে বলেই আশা সংশ্লিষ্টদের।