সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বিএসএফ ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের (এনএসজি) কর্মীদেরও টানা ১২ ঘণ্টার রক্তাক্ত অভিযানের মধ্যেদিয়ে ভারতের উত্তর পাঞ্জাবের গুরুদাপুরের জঙ্গি হামলার অবসান হয়েছে।
শেষ জঙ্গি নিহত হওয়ার পর স্থানীয় সময় বিকাল ৫টার দিকে অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করে দেশটির সেনাবাহিনী।
সোমবার পাকিস্তান সীমান্তের কাছে গুরদাসপুরে পুলিশ স্টেশন ও বাস স্টেশনসহ কয়েকটি স্থানে বন্দুকধারীদের হামলায় একজন পুলিশ সুপারসহ (এসপি) নিহত হন কমপক্ষে ১০ জন।
এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। নিহতদের মধ্যে ৩ বন্দুকধারীও রয়েছে।
এনডিটিভি ও আনন্দবাজার জানায়, বন্দুকধারীরা প্রথমে একটি প্রাইভেটকার ছিনতাই করে। এরপর গাড়ির ভেতর থেকে বাস স্টেশনে গুলি করতে করতে পাশের পুলিশ স্টেশনে গিয়ে হামলা চালায়। নিহতদের মধ্যে গুরুদাসপুরের পুলিশ সুপার বলজিৎ সিংহ ও আরও দু’জন পুলিশ কর্মী রয়েছে।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, সোমবার ভোরে পাক সীমান্ত পেরিয়ে ওই এলাকায় ঢুকে পড়ে কয়েক জন জঙ্গি। সেনাবাহিনীর পোশাক পরা জঙ্গিরা প্রথমে রাস্তার পাশের একটি খাবারের দোকানে হামলা চালায়। এরপর একটি চলন্ত বাসে হামলা করে। এতে চার জন যাত্রী গুরুতর আহত হন।
এরপর জঙ্গিরা একটি প্রাইভেটকার চালককে গুলি করে তার গাড়ি কেড়ে নেয়। ওই গাড়ি নিয়েই একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলা চালায় তারা। সেখানে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। দিননগর থানায় এসে আবারো হামলা শুরু করে তারা।
এই ঘটনার পর গোটা ভারতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হামলার পর সকালেই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ঘটনার জেরে উত্তাল হয়েছে ভারতের সংসদও। এ বিষয়ে লোকসভায় বিবৃতি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। এর আগে সকালে হামলার পরপর তিনি বলেন, এই ঘটনার জেরে পাক সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
রাজনাথ আরো বলেন, ‘পাকিস্তান বিষয়ে আমরা শান্তি চাই। কিন্তু, দেশের সম্মান বিসর্জন দিয়ে নয়। আমরা প্রথমে হামলা চালাই না। কেউ আমাদের ওপর আক্রমণ চালালে হাত গুটিয়ে বসে থাকবো না। যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।’