চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

রক্তমাখা শার্ট ছেড়ে টিশার্ট পরে নিলয়ের খুনি

মাত্র ১০ মিনিটের অপারেশনে ব্লগার নিলয়কে হত্যার পর নিচে অপেক্ষমান রির্জাভ করা সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় এসে বসে খুনিরা। এরপর রক্তমাখা ছুরি আর চাপাতি কাপড় দিয়ে মুছে সেই ব্যাগেই রেখে দেয় তারা। যে ব্যাগে করেই আনা হয়েছিলো এগুলো।

নিলয়ের মূল হত্যাকারীর শার্টের পুরোটাই রক্তে ভিজে যায়। ওই অটোরিক্সায় বসেই সে তার গায়ের শার্টটি খুলে ব্যাগ থেকে টিশার্ট পরে নেয়। তারপর রক্তমাখা শার্টটি ফেলে দেয় বাসার পাশেই রাখা একটি বালতিতে।

হত্যার পর পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসছে। রক্তভেজা ওই শার্টটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ঘটনার তদন্তে থাকা একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, হত্যায় অংশ নেওয়া চারজনের মধ্যে তিনজনের ২০ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। আরেক জনের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর। ওই তিন জনের মুখে দাড়ি ছিলো। পরনে ছিলো শার্ট অার প্যান্ট।

নিলয়ের স্ত্রী আশা মনি মামলার এফআইঅার-এ উল্লেখ করেছেন, দুপুর ১টা ১০ মিনিটে খুনিদের একজন তাদের ঘরে ঢুকে। কিছুক্ষণ পর অারো তিনজন। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই তারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে ১টা ২০ মিনিটে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।

শুক্রবার দুপুরে পূর্ব গোড়ানের ভাড়া বাসায় একটি ফ্ল্যাটে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় নিলয় চক্রবর্তী ওরফে নিলয় নীলকে। নিলয় নীল নামে ফেসবুকে লেখালেখি করতেন। ব্লগে লেখার পাশাপাশি আরডিসি নামের এক এনজিওতে কাজ করতেন।

এর আগেও মৌলবাদী গোষ্ঠী তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলো। হত্যার পর ঘটনার দায় স্বীকার করে আল কায়দা’র বাংলাদেশ শাখা বলে দাবিদার জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’। রাতেই বিভিন্ন মিডিয়ায় ই-মেইল করে জঙ্গি সংগঠনটি।