কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণ ও ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে প্রাকৃতিক ফসল সংরক্ষণাগার স্থাপন করা হয়েছে রংপুরে। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া জমির ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে তৈরী করা হয়েছে এই ফসল সংরক্ষণাগার।
জেলার মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ, তারাগঞ্জসহ আট উপজেলায় উৎপাদিত বিভিন্ন ফসল সরবরাহ করা হয় রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে। কৃষক বেশী পরিমান ফসল উৎপাদন করলেও সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় বঞ্চিত হন ন্যায্য মূল্য থেকে।
এই সমস্যা দূর করতেই প্রাকৃতিক এই ফসল সংরক্ষণাগার। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, সংরক্ষণাগার হওয়ার ফলে এখন থেকে আমরা সহজেই ফসল সংরক্ষণ করতে পারবো। তাতে করে ঢাকা পৌঁছাতে না পারলেও পচে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচা যাবে।
৩৬ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত প্রাকৃতিক ফসল সংরক্ষণাগারে ব্যবস্থা রয়েছে বিভিন্ন ফসল সংরক্ষণের। এ অঞ্চলের অন্যতম রবিশস্য আলুসহ মশলা জাতীয় ফসল রসুন, আদা, পেঁয়াজও সংরক্ষণ করা যাবে এখানে।
কৃষকরা বলছেন, এখন থেকে আমাদের উৎপাদিত ফসল পচে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে আসবে। তাতে করে আগের থেকে আমরা ভালো দামে ফসল বিক্রি করতে পারবো।
এনসিসি ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের অর্থায়নে অল্প খরচে কৃষকদের ফসল সংরক্ষণের এমন প্রযুক্তি সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মঞ্জুর হোসেন বলেন, সংরক্ষণাগার হওয়ার ফলে এখন থেকে কৃষকেরা তাদের ফসলের ব্যাপারে একটা নিশ্চয়তা পাবে। ভালো দাম বুঝে বিক্রি করার সুযোগ পাবে। তাতে করে এ অঞ্চলের কৃষকেরা আগের তুলনায় কৃষি আবাদের প্রতি সচেষ্ট হবে। অচিরেই প্রাকৃতিক ফসল সংরক্ষণাগারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।