যৌন হয়রানির শিকার হয়ে পুলিশের কাছে দায়ের করা অনেক অভিযোগই ‘প্রমাণ পাওয়া যায়নি’ বলে চাপা দেওয়া হয়েছে কানাডায়। কানাডার প্রভাবশালী পত্রিকা ‘দ্যা গ্লোব অ্যান্ড মেইল’ এর অনুসন্ধানে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। (সূত্র: নতুনদেশ ডটকম)
গ্লোব অ্যান্ড মেইলের অনুসন্ধানের পর পুরো কানাডার পুলিশ বিভাগ নড়েচড়ে ওঠেছে। পুলিশের বিশেষ অডিট টিম ‘প্রমাণ পাওয়া যায়নি’ হিসেবে চিহ্নিত ফাইলগুলো নতুন করে পর্যালোচনা শুরু করেছে। একই সঙ্গে দলে দলে পুলিশ সদস্যদের মানসিক প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হচ্ছে। পুলিশের উপর বিভাগীয় নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।
জানা যায়, দ্যা গ্লোব অ্যান্ড মেইল কানাডার ৮৭৩টি পুলিশ স্টেশন থেকে ‘ফ্রিডম অব ইনফরমেশন’ আইনের আওতায় যৌন হয়রানির অভিযোগের তদন্ত বিষয়ক ফাইল সংগ্রহ করে টানা ২০ মাস নিজেদের টিম দিয়ে পর্যালোচনা করে। ২০১০ থেকে ২০১৪ সালে বিভিন্ন পুলিশ স্টেশনে দায়ের করা অভিযোগগুলি নিয়ে টানা ২০ মাস ধরে অনুসন্ধান চালায় গ্লোব অ্যান্ড মেইলের অনুসন্ধানী টিম। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তারা তাদের অনুসন্ধানের ফলাফল প্রকাশ করে।
২০ মাসের টানা অনুসন্ধানের ফলাফল ধরে গ্লোব অ্যান্ড মেইল জানায়, বিভিন্ন পুলিশ স্টেশনে দায়ের করা যৌন হয়রানির প্রতি পাঁচটি অভিযোগের অন্তত একটিকে পুলিশ ‘অপ্রমাণিত’ ঘোষনা দিয়ে ফাইলচাপা দিয়ে দেয়।
গ্লোব অ্যান্ড মেইলের তথ্যে জানা যায়, পুলিশের পর্যালোচনায় থাকা ৩৭,২৭২টি অভিযোগের অর্ধেকই অপ্রমাণিত হিসেবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। অবশ্য পুলিশ বলছে, অর্ধেক নয়, এক তৃতীয়াংশ অভিযোগ ভুলভাবে ‘কোড’ করা হয়েছিলো।
জানা যায়, এখন পর্যন্ত পুলিশের পর্যালোচনা দল ৬,৩৪৮টি ফাইল পেয়েছে যেগুলো অপ্রমাণিত হিসেবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। এই পর্যালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ৪০২টি অভিযোগ নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে । গ্লোব অ্যান্ড মেইল বলছে, তারা জানতে পেরেছে অন্তত ৬টি অভিযোগ আছে যেগুলো ফৌজদারি অপরাধের দায়ে চার্জ গঠনের প্রমাণ আছে কিন্তু পুলিশ সেগুলো নাকচ করে দিয়েছিলো।