রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে যৌথ অভিযানে ১২ জন জিম্মিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তারা জীবিত না মৃত সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। অভিযানে ৫ জিম্মিকারী নিহত হয়েছে। ২ জঙ্গিকে জীবিত আটক করা হয়েছে।
অভিযানের সময় দু’পক্ষের গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। সাড়ে ১২ মিনিটের মূল অভিযান শেষ হওয়ার পরও ভেতর থেকে বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। তবে এখনো অভিযান সমাপ্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি যৌথ বাহিনী।
সাঁজোয়া যানসহ সেনাবাহিনীর একটি দল অবস্থান নিয়েছে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টের সামনে। সেনাবাহিনীর আরও কয়েকটি কাভার্ড ভ্যান এবং একটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে জিম্মিদের উদ্ধারে বিশেষ বাহিনী (স্পেশাল উইপন্স এন্ড টেকটিকস) সোয়াটের সঙ্গে ভোর ৪টার পর থেকেই পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, নৌ-বাহিনী কমান্ডো দল সীল এবং সেনাবাহিনীর কমান্ডোদের সমন্বয়ে এ অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করে।
অভিযানে পাঁচজন হামলাকারীর নিহত হবার খবর নিশ্চিত হলেও বাকি হামলাকারীদের ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
রেস্টুরেন্টে আটকা পড়া জিম্মিদের উদ্ধারে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী।
রাত গভীর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভিযানের প্রস্তুতিতে নিতে শুরু করে। শুরুতে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং সোয়াটের উপস্থিতি থাকলেও রাতের শেষ দিকে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় নৌবাহিনী কমান্ডো দল সীল এবং সেনাবাহিনীর বিশেষ কমান্ডো দল।
মধ্যরাতে সীলের কয়েকজন সদস্য রেস্টুরেন্টের পেছনে থাকা লেক পেরিয়ে ভেতরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আসে। ফেরার পর তারা জানায়: ভেতরে ৭ থেকে ৮ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। প্রত্যেকের পরনে রয়েছে জিনসের প্যান্ট এবং টিশার্ট। জিম্মিদের মধ্যে দু’টি শিশুও রয়েছে।
ভোর চারটার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংবাদকর্মীদের ঘটনাস্থল থেকে ১ কিলোমিটার দূরে সরিয়ে দেয়।