প্রথমার্ধ বেঞ্চে বসেই কাটিয়েছেন। দ্বিতীয়ার্ধের ২৩ মিনিটে জর্ডান হেন্ডারসনের বদলি হয়ে আসেন মাঠে। দেখতে দেখতে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা কেটে যায়। পাওয়া হয় না গোল। পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে খুললেন সেই গেরো। নিজেকে সুপার সাব প্রমাণ করা ফরোয়ার্ড ডিভক অরিগি এনে দিলেন জয়সূচক গোলটি। উলভার হ্যাম্পটনকে হারিয়ে লিভারপুলকে তুলে নিলেন ইপিএল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।
আগের ম্যাচে চেলসির পরাজয়ে অলরেডদের সামনে শীর্ষে ওঠার হাতছানি ছিল। শনিবার রাতে মলিনাক্স স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষের উপর ঝাঁপিয়েই পড়েছিলেন সালাহরা। ম্যাচে ৬৭ শতাংশ বল দখলে রাখার পাশাপাশি তারা নেন ১৭টি শট। যার মধ্যে লক্ষ্য বরাবর ছিল পাঁচ শট। অন্যদিকে স্বাগতিক উলভাররা মাত্র তিনটি শট নিতে পারে, লক্ষ্যে মাত্র একটি।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে মোহাম্মেদ সালাহর কর্নার থেকে আসা বলে হেডে গোল করতে ব্যর্থ হন জোয়েল মাতিপ। ৩২ মিনিটে তিনি হেডে গোল করতে ব্যর্থ হন আবারও। এ যাত্রায় তাকে বল বাড়িয়েছিলেন ট্রেন্ট অ্যালেক্সান্ডার আর্নল্ড।
বিরতির পর অতিথিদের হতাশা বাড়ান সালাহ। অ্যালেক্সান্ডার আর্নল্ডের থেকে কর্নার কিকে বল পেলেও বাঁ-পায়ের শট জাল বরাবর পাঠাতে পারেননি। খানিক পর থিয়াগোর শট রুখে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক হোসে শা।
ম্যাচের ৫৯ মিনিটে লিন্ডার ডেনডঙ্কের দূরপাল্লার শট ঠেকিয়ে লিভারপুলের ত্রাতা হন অ্যালিসন বেকার। পাঁচ মিনিট পর রবার্টসনের হেড থেকে বল পেয়ে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন ডিয়েগো জোতা।
লিভারপুলের একের পর এক গোলের সুযোগ হাতছাড়ার মিছিলে ৮৭ মিনিটে যোগ দেন সাদিও মানে। তার ডান পায়ের শট গোলরক্ষক প্রতিহত করলে অলরেড ডাগআউটে হতাশা নেমে আসে।
যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে অবশ্য আলোর ঝলকানি। আসে কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। সালাহর বানিয়ে দেয়া বলে পোস্টের একদম কাছ থেকে বাঁ-পায়ে নিশানাভেদ করে লিভারপুলকে স্বস্তি এনে দেন অরিগি।
জয়ে ১৫ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্টে টেবিলের শীর্ষে এখন লিভারপুল। সমান ম্যাচে ২১ পয়েন্টে উলভার হ্যাম্পটন অষ্টম স্থানে। সাউদাম্পটন ও ব্রাইটনের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে।