চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

যে দৃঢ়চেতা শেখ হাসিনার উপর বাংলাদেশ আস্থা রাখতে চায়

বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে বরাবরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহাগুরুত্বপূর্ণ ভারত সফর শেষেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তার বক্তব্য তুলে ধরার পর সাংবাদিকদের অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মোটাদাগে এখানে ইস্যু ছিল দুটি: ১. তিস্তা চুক্তি না হওয়া এবং ২. প্রতিরক্ষা সহযোগিতা স্মারক। তিস্তা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন: ‘তিস্তার পানি নিয়ে এখন অনেকেই কথা বলেন; কিন্তু ভারত যখন গজলডোবায় বাঁধ দিল, তখন যারা ক্ষমতায় ছিল, তখন কেউ কথা বলেনি। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ ছাড়াও অনেক সরকার এসেছে। অন্যরা কেউ তিস্তার পানি নিয়ে টুঁ শব্দ করেননি।’ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য কি না– এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী জানান: ‘আমিও বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছি। তাকে বলেছি, অন্য নদীর পানিগুলো তারা নিজেরা নিয়ে তিস্তার পানি আমাদের দিন। এটা নিয়ে আলোচনা চলবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আলোচনা করছি। তিস্তা চুক্তি নিয়ে মমতা কিন্তু একেবারে না করেননি। আশপাশের নদীগুলো সংযোগ করে এটা করার কথা বলেছেন। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তিস্তা চুক্তি হবেই। তিনি (মোদি) ও আমি ক্ষমতায় থাকতে এটা হবে।’ আমরাও আশা করি, বর্তমান সরকারের মেয়াদেই এ চুক্তি হবে। এটা যেমন বাংলাদেশের মানুষের জন্য প্রয়োজন তেমনি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক দৃঢ় করার জন্যও জরুরি। সেই সম্পর্ক দৃঢ় করার অংশ হিসেবেই তার ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও ২৪টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সামরিক সহযোগিতা স্মারক নিয়ে বিশেষ করে বিএনপির সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন: তার জীবদ্দশায় তার হাত দিয়ে বাংলাদেশের কোন ক্ষতি হবে না। তিনি বলেন, ভারতে তিনি বন্ধুত্ব চাইতে গেছেন, সম্মান নিয়ে এসেছেন। প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সফরটা ফলপ্রসূ হয়েছে, সম্পূর্ণ তৃপ্তিরও হয়েছে। ভৌগোলিক সীমারেখা বা জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশ কম হতে পারে, কিন্তু সার্বভৌমত্বের দিক দিয়ে সমান-সমান। এই সম্মানটা বাংলাদেশের। এখানে হতাশার কিছু নেই।’ তিনি স্পষ্টভাবেই বলেছেন, ‘আমি যে সিদ্ধান্ত নিই, তা দৃঢ়চেতা হয়েই নিই।’ আমরাও এ দৃঢ়চেতা শেখ হাসিনার উপর ভরসা রাখতে চাই। সেজন্য প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি তার প্রমাণ রাখবেন বলে আমরা আশা করি।