চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

যে কারণে এ বাজেট ব্যতিক্রমী

চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে প্রস্তাবিত বাজেট নানাভাবে ব্যতিক্রমী। আগামী অর্থবছরকে ধরা হয়েছে ২০২১ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য বিদায়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের শুরু হিসেবে। সরকারের অগ্রধিকার খাত হিসেবে যুক্ত হয়েছে অবকাঠামো খাত। রাজস্ব খাতে উচ্চ প্রবৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তার বদলে এসেছে সামাজিক সুরক্ষার ভাবনা। সর্বোপরি ব্যক্ত হয়েছে ২০৪১ সালের উন্নত দেশের স্বপ্ন।

‘অগ্রগতির ধারাবাহিকতা: সম্ভাবনাময় আগামীর পথে বাংলাদেশ’ এ ছিলো চলতি অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতার শিরোনাম। আর আগামীর বছরের জন্য ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ, উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথরচনা’। কেবল ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়াই নয়, উন্নয়নের ক্ষেত্রে স্বপ্নের দিগন্তকে আরো প্রসারিত করার কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বললেন, এবার প্রতিজ্ঞা ৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া। প্রবৃদ্ধির ৬ শতাংশের বৃত্ত ভেঙ্গে উচ্চ প্রবৃদ্ধির সোপানে আরোহণ ও মাথাপিছু আয়ের ধারাবাহিক উত্তরণ ঘটানোর ক্ষেত্রে জানালেন সরকারের চূড়ান্ত লক্ষ্যের কথা।

জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে বড় উল্লম্ফনের লক্ষ্যমাত্রাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য যৌক্তিক কার্যক্রম গ্রহণে রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের সাহসিকতার প্রশংসা করে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, রাজস্ব বোর্ডের কর্মীদের যে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে তা এখন কাজে আসবে।

তবে এ অগ্রযাত্রায় রাজনৈতিক দলগুলো স্বত:স্ফূর্ত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে, বিরত থাকবে সহিংশতা ও নাশকতার কর্মকাণ্ড এমন প্রত্যাশা অর্থমন্ত্রীর।

শিশুদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এমন ৫টি মন্ত্রণালয়ের শিশু সংশ্লিষ্ট ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে প্রথমবারের মতো শিশুদের বাজেট ভাবনা শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী।

এ বছর জুলাই থেকে ৭ম পঞ্চ বার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় কারিগরি ও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন মানবসম্পদ গঠন-বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও যোগাযোগ খাতে অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা দূর করা-কৃষি ভিত্তিক শিল্পসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণ, আইসিটি স্বাস্থ্য শিক্ষা সংক্রান্ত সেবা রপ্তানীতে নীতি কৌশল প্রণয়ণে জোর দেয়া হয়েছে বাজেটে।

এছাড়া শুল্কস্তরের বিন্যাসে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আমদানী শুল্কের হার ০, ২, ৫, ১০ ও ২৫ শতাংশের পরিবর্তে আগামী অর্থবছরের জন্য করা হয়েছে ০, ১, ২, ৫, ১০ ও ২৫ শতাংশ।