চারদিকে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। সে হাওয়ায় গা ভাসিয়েছে দেশের আপামর জনগণ। নানা কারণেই আসন্ন ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই সাধারণ মানুষের। বিশেষ করে নির্বাচনকে ঘিরে এবার তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছেন দেশের তারকারা অভিনেতা, অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পীরা।
আওয়ামী লীগ, বিএনপি সহ দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ হয়ে আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রাজনীতিবীদ ছাড়াও এবারই প্রথম শোবিজ অঙ্গন থেকে দেখা গেছে বেশকিছু তারকাদের নাম! যারা নিজেদের পছন্দের দল থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোয়ন চেয়েছিলেন। কাউকে দলগুলো মনোয়ন দিয়েছে, আবার কাউকে মনোনয়ন দেয়নি। তবে তাদের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের(বিএনপি) পক্ষে মনোনয়ন পেয়ে সবচেয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন চিত্রনায়িকা শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা!
সোশাল মিডিয়ায় রীতিমত শায়লাকে নিয়ে হইচই। শায়লার মনোনয়ন প্রাপ্তির বিষয়টি নিয়ে ট্রল করছেন অনেকে, কেউবা আবার বিষয়টি দেখছেন ইতিবাচক ভাবেই। কিন্তু কে এই শায়লা? তাকে নিয়ে কেনো সোশাল মিডিয়া এতো সরব?
শূন্য দশকের শুরুতেই বাংলা চলচ্চিত্রে আগমন হয়েছিল চিত্রনায়িকা শায়লার। ওই সময়ে নষ্ট মেয়ে, ওরা কারা, ফুটপাতের শাহেনশাহ, নষ্টা মেয়ে, জ্বলন্ত নারী, ধর, মফিজ, তেজী মেয়ে, যৌথ হামলা ইত্যাদি ছবিগুলোতে কাজ করে আলোচনায় আসেন তিনি। আর এই চলচ্চিত্রগুলোকে অনেকেই ‘অশ্লীল সময়ের ট্রেড মার্ক’ বলছেন! বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রাপ্তির পর সোশাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে চর্চায় মেতে উঠার এটাই সবচেয়ে বড় কারণ!
তবে শায়লার ঘনিষ্ঠজন বলছেন, চলচ্চিত্রে যখন পুরোপুরি অশ্লীলতা প্রবেশ করছে এমন সময় থেকেই ধীরে ধীরে চলচ্চিত্র থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন এই নায়িকা। এরপরেই জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। শায়লা বর্তমানে জাতীয়তাবাদী দল সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি।
শায়লার নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রসন)। গত মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে মনোনয়নের চিঠি সংগ্রহ করেছেন চিত্রনায়িকা শায়লা। এরপর থেকে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা।
ঢাকায় বেড়ে উঠলেও নিজ এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব উপস্থিতি দেখা গেছে তার। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতেও সরব ছিলেন তিনি।
বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে শায়লা বলেন, এবার সারা দেশে ধানের শীষের জোয়ার। জনগণ চায় বিএনপি ক্ষমতায় আসুক। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। জনগণের জন্য আমি ইতোমধ্যে এলাকায় অনেক কাজ করেছি। তারা আমাকে অবশ্যই ভোট দেবেন।
তবে শেষ পর্যন্ত ফরিদপুর-৪ আসন থেকে শায়লাকেই বিএনপি মনোনয়ন দেয় কিনা সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। কারণ সেই আসন থেকে বিকল্প হিসেবে ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিমকেও মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।