আফগানিস্তানের নানগারহর প্রদেশে রমজান কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে কয়েকটি বোমা হামলায় কমপক্ষে আটজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও ৪৫ জন। পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে স্থানীয় তরুণরা ওই টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। খেলা চলছিল শুক্রবার রাতে।
সম্প্রতি আফগানিস্তান বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের নতুনভাবে পরিচয় করাচ্ছে। গতবছর টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দেশটি। টি-টুয়েন্টি র্যাংঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের উপরে, আট নম্বরে অবস্থান করছে আফগানিস্তান।
আফগানিস্তানে বোমা হামলার ঘটনা প্রায় নিয়মিত হলেও ক্রিকেট অঙ্গন এর বাইরে ছিলো। তালিবান গোষ্ঠীর মুখপাত্র হিজবুল্লাহ মুজাহিদিন অবশ্য এই হামলায় জড়িত নয় উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে। একমাত্র ক্রিকেট বিষয়েই সরকার এবং তালেবান সমর্থকরা কাছাকাছি আসতে পেরেছিলো বলে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মত।
সেই আফগান ক্রিকেটের উপরেও রোষ নেমে আসলো। যারা সমাজ, রাষ্ট্র, বিশ্বকে সুস্থ স্বাভাবিক দেখতে চায়না সেইসব হায়েনারা আফগানিস্তানের সম্ভবনাময় ক্রিকেট অঙ্গনেও হামলা করলো।
এক বিবৃতিতে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই হামলা প্রমাণ করে সন্ত্রাসীরা পবিত্র মাসের ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী নয়। তারা মানবতার শত্রু।’
আফগান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলতে চাই, যারা মানবতার ধ্বংস চায় তারাই এ ধরণের নিকৃষ্ট কাজ করতে পারে। এই হামলাকারীরা নিজেদেরও মঙ্গল চায় না। হামলাকারীরা ইতিবাচকভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। তারা যে আগুনে নারী-শিশুদের পোড়াচ্ছে, সে আগুন একদিন হামলাকারীদের পোড়াবে সেই স্বাভাবিক চিন্তাও করতে পারছে না।
এ পরিস্থিতিতে বিশ্ব মোড়লদের নতুন করে ভাবনার সময় এসেছে। মানবতা বাঁচাতে নেতিবাচক এই শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার কোন বিকল্প নেই।