বুকে হালকা ব্যথা অনেকদিন ধরেই। গ্যাসের ব্যথা ভেবে সেটা এড়িয়ে গেলেই একসময় দেখা দেয় হার্ট অ্যাটাকের মতো ভয়াবহ সমস্যা। কিছু কিছু সমস্যার সমাধানে তাই শুরু থেকেই সচেতন হওয়া জরুরি। যেন সেগুলো বেড়ে আরো বেশি ক্ষতিকর না হয়ে পড়ে।
তবে শুধু এমন সব ভয়াবহ মুহূর্তেই না, অনেক সময় আমরা ঠিক বুঝতেই পারি না কোন সময়ে নিজেদের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার। ফলে বেশিরভাগ সময়-ই দেরি হয়ে যায় খুব। তাই সমস্যার সমাধানে তাই আগে থেকেই সচেতন হওয়াটা জরুরি। ছোট ছোট সমস্যাগুলো নিয়েও মাঝে মাঝে পরামর্শের দরকার হয়। তাহলে বড় রোগগুলোর ব্যাপারে খানিকটা হলেও সচেতন থাকা যায়।
জেনে নিন কোন কোন সময়গুলোতে আপনার ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত সেটার সঠিক গাইডলাইন।
প্রস্রাবে সমস্যা: প্রস্রাব করতে সমস্যা হলে সেটা প্রোস্টেট ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। হয়তো রাতের বেলা আপনার খুব প্রস্রাবের চাপ আসলো কিন্তু প্রস্রাব করতে গেলেই জ্বালাপোড়া বা ব্যথা করছে। তাহলে দেরি করবেন না, দ্রুতই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। এসএইচএস ইংল্যান্ডের গবেষণামতে প্রতিবছর অন্তত ৪০,০০০ মানুষ প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। সাবধানতা তাই আগে জরুরি।
বারবার ডায়রিয়া: এটি কিন্তু গলব্লাডারে পাথরের একটি বড় লক্ষণ। গলব্লাডারে পাথর হলে যদি পিত্তনালীতে কোনো বাধা সৃষ্টি হয় তাহলে পেটেও ব্যথা অনুভূত হতে পারে। শরীরে বেশি বেশি পিত্ত তৈরি হলেও ডায়রিয়া হতে পারে। টয়লেটে দুর্গন্ধ এবং রঙের পরিবর্তন হলেও ডাক্তারের কাছে যাওয়া দরকার দ্রুতই।
তিল: রূপসজ্জার জন্য এই জিনিসটি অপকারী। অনেকেই ভাবেন এতে ডাক্তার দেখানোর কি আছে? শুধু কি তাই? তিল কিন্তু ত্বকের ক্যান্সারেরও লক্ষণ হতে পারে। এনএইচএস ইংল্যান্ড সেই সব তিলগুলোকে চিহ্নিত করেছেন যেসব ক্ষতিকর। ক্ষতিকর তিলগুলোর লক্ষণ হলো: ১) সাধারণত তিলের একটি বা দুটি রঙ থাকতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে অনেক ধরনের রঙ দেখা যায়। ২) এসব তিলের চারপাশ জীর্ণ ও অমসৃণ থাকে। ৩) তিলে চুলকানি, রক্তক্ষরণ বা জ্বলুনি থাকি। ৪) এবং তিল যদি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বড় আকৃতির হয়ে থাকে তবে সেটাও স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ।
পিঠের ওপরের দিকে ব্যথা: এটাকে শুধু শোয়ার দোষের ব্যথা ভেবে বসে থাকবেন না। মেরুদণ্ডের কোনো হাড় এদিক ওদিক হলেও এমন ব্যথা হতে পারে। একবার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে দোষ কি?
অদ্ভুত সব ঘ্রাণ পাওয়া: এই লক্ষণটিকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় ফ্যান্টসমিয়া। যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি প্রায়শই এমন কিছুর ঘ্রাণ পান যেগুলো পাওয়ার কথা নয়। এনএইচএস বলছে, এটি আলঝেইমার্স রোগের লক্ষণ হতে পারে। এমনকি পারকিনসন্স বা হ্যালুসিনেশনও হতে পারে। যে ঘ্রাণটি পাচ্ছে তার কাছে ঘ্রাণটি পুরোপুরি ভিন্নরকম এবং মোটেও সুখকর নয়।