চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

যেভাবে শেষরাতে শেষ নিদ্রায় শায়িত কুনিও

রংপুরে জাপানি নাগরিক হোসি কুনিও হত্যাকান্ডের ১০ দিন পার হওয়ার পর গত ভোর রাতে গণমাধ্যম কর্মী এবং এলাকাবাসীকে পাশ কাটিয়ে কঠোর গোপনীয়তায় তাড়াহুড়ো করে তাকে দাফন করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার সকালে রংপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সিটি মেয়র মুন্সিপাড়া কবরস্থানেই কুনিও’র মৃতদেহ দাফনের অনুমতি দিয়েছেন।

তবে পরে জানানো হয়, গত রাত ৩টার পরই তার দাফন সম্পন্ন হয়ে গেছে। কুনিও’র খুন রহস্য উদঘাটনে এবার কুনিও’র ব্যবসায়িক সহযোগী হুমায়ুন কবীর হীরার স্ত্রী সুলতানা খাতুন শিল্পীকে আটক করা হয়েছে। ৩ অক্টোবর কুনিও নিহত হওয়ার পর জাপানি দূতাবাস এবং জাপান থেকে আসা প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কুনিও’র মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার প্রমাণ পাওয়ার পর থেকেই তাকে রংপুরে দাফনের প্রস্তুতি চলে আসছিলো।

কিন্তু এক্ষেত্রে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা রহস্যজনক আচরণ করে আসছিলেন।ময়নাতদন্ত শেষে কুনিও’র মৃতদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে কখন, কোথায় নেওয়া হবে সে বিষয়ে এ পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিতভাবে কিছুই জানানো হচ্ছিলো না। তবে তার দাফন রংপুরের মুন্সিপাড়া কবরস্থানেই হবে এমন ধারণা দেওয়া হয়েছিলো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

কুনিও হত্যার রহস্য উন্মোচনে এখনো সফলতার মুখ দেখেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহ গোয়েন্দা সংস্থা। এদিকে হঠাৎ করেই কুনিওকে এভাবে দাফন করায় চরম ক্ষোভ ছিলো গণমাধ্যম কর্মী এবং এলাকাবাসীর মাঝে।

গত ৩ অক্টোবর রংপুরের মাহিগঞ্জের আলুটারীতে একদল মুখোশধারীদের গুলিতে নিহত হন হোসি কুনিও। ঘটনার দিন সকালে কুনিও তার মুন্সিপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে রিক্সায় করে প্রকল্পের কাজে আলুটারী এলাকায় পৌঁছালে ‘প্রেস’ লেখা নাম্বারপ্লেট বিহীন মোটরসাইকেলে কয়েকজন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। বুকে, হাতে ও ডান কাঁধে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।