ইংরেজি নববর্ষকে স্বাগত জানাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপিত হয়েছে।
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ইংরেজি বর্ষ গণনা পদ্ধতি বর্তমান বিশ্বে ব্যাপকভাবে অনুসরণ করা হয়। সেই ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি। তারই প্রথম প্রহরে রাজধানীবাসী আলোর ফোয়ারা আর আতশবাজির শব্দে উল্লাসে মেতে উঠে নতুন দিনের প্রত্যাশায়।
নতুন ইংরেজি বছর সবার জীবনে যেন মঙ্গল এবং শান্তি বয়ে আনে-সেই শুভ কামনায় ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে নগরের অভিজাত এলাকা প্রকম্পিত হতে থাকে পটকা আর আতশবাজিতে। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে উদযাপিত হয় থার্টি ফার্স্ট নাইট।
গুলশান, বনানী, বারিধারা, ধানমন্ডি, উত্তরাসহ অভিজাত এলাকায় কেউ বাসায় অথবা কেউ ক্লাবে হৈ-হুল্লোড় করে নতুন বছর উদযাপন করে। তবে রাস্তায় পুলিশ ও র্যাবের কড়া নিরাপত্তার কারণে অনেকেই বাসা থেকে বের হতে পারেনি।
রাত ৮টার পর থেকে বনানী, গুলশান, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। অবশ্য গুলশান ক্লাব, ঢাকা ক্লাব, উত্তরা ক্লাবসহ নগরীর ফাইভ স্টার হোটেলগুলোতে ঘরোয়াভাবে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপিত হয়।
রাত ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো থেকে ছাত্ররা বেরিয়ে আসে। অনেকেই টিএসসি’র সামনে অবস্থান নেয়। ছাত্ররা ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ জানিয়ে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানায়।
রাজধানীর ফাইভ স্টার হোটেলগুলোতে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে পৃথক ব্যবস্থা ছিল। হোটেলগুলোতে বিভিন্ন পার্টি উদযাপনে আগেই টিকিট বিক্রি করা হয়। হোটেল রূপসী বাংলা, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, ওয়েস্টিন, রেডিসন, ঢাকা রিজেন্সি, হোটেল স্যারিনাসহ বিভিন্ন অনুমোদিত বারগুলোতে রাতভর চলে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন।
দিবসটি উদযাপনে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ (ডিএমপি) বিভিন্ন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আইন-শৃংখলা রক্ষায় এবং নিরাপত্তার স্বার্থে উন্মুক্ত স্থানে যে কোন অনুষ্ঠান কর্মসূচির আয়োজন নিষিদ্ধ করা হয় বলে জানান ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ইউনিফরমধারী পুলিশ সদস্য অথবা সাদা পোশাকে সোয়াত সদস্য এবং বোমা নিস্ক্রিয়কারী টিমের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডগ স্কোয়াড মোতায়েন থাকবে, নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান এবং বনানী এলাকায় অগ্নিনির্বাচক টিম ও অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়।