মিরপুর থেকে: ম্যাচের আগে ড্রেসিংরুমের সামনে হল আনুষ্ঠানিকতা। একে একে টি-টুয়েন্টি ক্যাপ পড়লেন জাকির হাসান, আরিফুল হক, আফিফ হোসেন ধ্রুব, নাজমুল ইসলাম অপু। এক ম্যাচে চার তরুণের অভিষেককে করতালিতে স্বাগত জানালেন শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরা। চারজনই বিপিএলে আলো ছড়িয়ে এসেছেন জাতীয় দলে।
২০১৬ সালে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টিতে এক ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল চার টাইগার ক্রিকেটারের। আবু হায়দার রনি, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মুক্তার আলী, মোহাম্মদ শহীদ। আর সবশেষ অভিষেক হয় মেহেদী হাসান মিরাজের, ২০১৭ সালের এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরে। বৃহস্পতিবার আবারও চারজন লাল-সবুজের জার্সির স্বাদ নিলেন প্রথমবার।
জাকির হাসান: বিপিএলে নেমেই রাজশাহী কিংসের জয়ের নায়ক বনে গিয়েছিলেন জাকির হাসান। মুমিনুলের সঙ্গে জুটিতে ২৬ বলে অপরাজিত ৫১ রানে অবদান ছিল ২০ বছরের তরুণের। গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনেও ছাপ রেখেছিলেন। পরে ঘরোয়ায় অনেকবার হেসেছে ব্যাট। বিসিএলের শেষ রাউন্ডে ২১১ রানের ইনিংস খেলার পর তাকে জাতীয় দলের ‘ইয়েস কার্ড’ দিতে ভাবতে হয়নি নির্বাচকদের। এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে টি-টুয়েন্টি ক্যাপ পরিয়ে দেন মুশফিকুর রহিম।
আফিফ হোসেন ধ্রুব: নবীন চার ক্রিকেটারের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ আফিফ হোসেন ধ্রুবই। বিপিএল চলাকালীন নির্বাচকদের চোখে পড়েন এ অফস্পিন-অলরাউন্ডার। ২০১৬ সালের বিপিএল অভিষেকেই নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। ২০১৭ সালে ব্যাটিংয়েও নজর কাড়েন। সদ্যগত যুব বিশ্বকাপে ব্যাটে-বলে দারুণ খেলে সেই দৃষ্টি স্থিরই করে নিয়েছেন।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলে নিউজিল্যান্ড থেকে ফেরার কয়েকদিন পরই জাতীয় দলে ডাকের সুখবরটা পান আফিফ। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের ছায়ায় থাকা এ ক্রিকেটার ১৮’তেই প্রবেশ করলেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে। ক্যাপ পড়ার সময় আশীর্বাদ পেয়েছেন জাতীয় দলের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের থেকে। ইনজুরির কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টুয়েন্টি খেলতে পারছেন না তামিম।
নাজমুল ইসলাম অপু: বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে নিয়েছেন ১০ ম্যাচে ১২ উইকেট। তাতেই নির্বাচকদের চোখে পড়েন বাঁহাতি স্পিনার। উইকেট পেলে সর্প-ড্যান্সে সারেন উদযাপন। মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাপ পড়ার আগেও তার নমুনা দেখালেন। সঙ্গে নাচলেন অধিনায়কও।
আরিফুল হক: বিপিএলে খুলনা টাইটানসের হয়ে সফল ফিনিশিং দিয়েছেন কয়েকটি ম্যাচ। স্লগ ওভারের ব্যাটিংয়ে নিজের সক্ষমতা দেখিয়েছেন। মিডিয়াম পেসটাও ভাল করেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও মেলে ধরেছেন নিজেকে। এই অলরাউন্ডারকে ক্যাপ পরিয়ে দেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন।