২০১৮ সালের আইপিএল খেলার পরপরই সবরকম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন দারুণ ফর্মে থাকা এবি ডি ভিলিয়ার্স। সাউথ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানের এমন বিদায় ভীষণ নাড়া দিয়েছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। আন্তর্জাতিক অঙ্গনকে বিদায় বলে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তার সিদ্ধান্ত অবশ্য বেশ সমালোচনার জন্ম দেয়।
ভিলিয়ার্সের বিদায়ে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছিল সাউথ আফ্রিকার। তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে অতিমাত্রায় ভিলিয়ার্স নির্ভরশীলতা হয়ে ওঠে প্রোটিয়াদের ক্ষতির কারণ। দশ দলের ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সপ্তম হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করে তারা।
ভিলিয়ার্সের বিদায়ের পর নড়বড়ে সাউথ আফ্রিকার অধিনায়ক ছিলেন ফ্যাফ ডু প্লেসিস। ভিলিয়ার্স বিদায় নিতে চাওয়ায় কেন তাকে আটকে রাখতে চাননি ডু প্লেসিস সেটা নিয়েও আছে বিতর্ক।
ভারতীয় স্পিনার রবীচন্দ্র অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে সেসব প্রশ্নের জবাবে সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক বলেছেন, ‘যখন এবি বিদায় বলল, পরিস্থিতি আমার জন্য বেশ কঠিন হয়ে গেল। একজন বন্ধু, একইসঙ্গে দলের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে তার উপর খুব বেশি নির্ভর করতাম। তার দক্ষতা আমাদের দরকার ছিল।’
‘তখন আমাদের যে কথাটা হয়েছিল, সে আমাকে বলল তার চলা এখানেই শেষ। সে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে না। একজন বন্ধু হিসেবে আমার প্রথম ভাবনাটা ছিল ‘‘আচ্ছা আমি তোমার সঙ্গে আছি এবং আমি তোমাকে সমর্থন দিচ্ছি। তুমি যদি মনে করো আর তুমি খেলতে চাও না, এখানেই শেষ বলে দেবে, তাহলে তুমি আমার শতভাগ সমর্থন পাবে।’’ এটুকুই।’
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সবার আগে বাদ পড়া নিশ্চিত হয় সাউথ আফ্রিকার। তখন নিজ দেশ থেকেই চাপের মুখে পড়তে হয় ডু প্লেসিস এবং হেড কোচ ওটিস গিবসনকে। যে ভিলিয়ার্সের দারুণ ফর্ম থাকা সত্ত্বেও কেনো তাকে দলে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে না!
এসব প্রশ্নের জবাবে ডু প্লেসিসের উত্তর হচ্ছে, ‘একজন অধিনায়ক হিসেবে আমার প্রথম চিন্তাটা ছিল কীভাবে আমরা এবিকে ছাড়া এগোব, কীভাবে আগের পারফরম্যান্সটা পাবো।’
‘কিন্তু আমার বন্ধুসত্ত্বাও তখন জেগে উঠল, তাকে বললাম ‘‘আমরা তোমাকে খুব মিস করবো, তুমি পুরোপুরি নিশ্চিত?’’ সে বলল, ‘‘শতভাগ নিশ্চিত, আমি আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে চাই না। এর পেছনে আমি আর ছুটতেও চাই না। তাই আমি থেমে যাচ্ছি।’’
‘আমি তখনই থেমে গেছি। আর তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেনি। কারণ তার সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করতাম। এমনকি যখন আমাদের তাকে খুব দরকার ছিল, তখনও তাকে ফেরানোর চেষ্টা করিনি।’